নতুন উচ্চতায় মিরাজ

আলো ছড়িয়েছিলেন অভিষেক টেস্টেই। দ্বিতীয় টেস্টে নিজেকে নতুন উচ্চতায় তুলে নিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ক্যারিয়ারের প্রথম দুই টেস্টেই নিলেন ৫ উইকেট!

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Oct 2016, 05:29 AM
Updated : 29 Oct 2016, 02:36 PM

মিরপুর টেস্টের প্রথম দিন বিকেলে ২ উইকেট নিয়েছিলেন মিরাজ। অসাধারণ বোলিংয়ে দ্বিতীয় দিন সকালে নিয়ে নেন আরও ৩ উইকেট।

চট্টগ্রাম টেস্টে অভিষেক ইনিংসে ৮০ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন মিরাজ। দ্বিতীয় ইনিংসে নিয়েছিলেন ১ উইকেট।

মিরাজের আগে অভিষেকে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন বাংলাদেশের ৬ জন বোলার। দ্বিতীয় টেস্টে তাদের কেউ ৫ উইকেট কেন, নিতে পারেননি ৪ উইকেটও। মাহমুদউল্লাহর ৪৪ রানে ৩ উইকেট ছিল আগের সেরা।

২০০০ সালে বাংলাদেশের অভিষেক টেস্টেই ভারতের বিপক্ষে ৬ উইকেট পেয়েছিলেন নাইমুর রহমান। বাংলাদেশের সেই সময়ের অধিনায়ক পরের টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বুলাওয়ায়োতে একমাত্র ইনিংসে ১ উইকেট নিয়েছিলেন ৭৪ রানে।

বুলাওয়ায়োর সেই টেস্টেই ৬ উইকেট নিয়ে অভিষেক মঞ্জুরুল ইসলামের। বাঁহাতি পেসার পরে টেস্টে হারারেতে ছিলেন উইকেটশূন্য। প্রথম ইনিংসে রান দিয়েছিলেন ১১৩, দ্বিতীয় ইনিংসে ২১।

মাহমুদউল্লাহর অভিষেক ওয়েস্ট ইন্ডিজে। অভিষেকে ৫ উইকেট আর ম্যাচে ৮ উইকেটের পর দারুণ বোলিং করেছিলেন দ্বিতীয় টেস্টেও। প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন ৪৪ রানে, পরে ইনিংসে ৩৭ রানে একটি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই চট্টগ্রামে ২০১১ সালে অভিষেকে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন ইলিয়াস সানি। অসুস্থতার কারণে সিরিজের পরের টেস্টটি খেলতে পারেননি বাঁহাতি স্পিনার। পরের টেস্ট খেলেন চট্টগ্রামেই পাকিস্তানের বিপক্ষে, একমাত্র ইনিংসে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন ১২৩ রানে।

আবারও ওয়েস্ট ইন্ডিজ, আবারও বাংলাদেশের একজন অভিষিক্ত বোলারের ৬ উইকেট। ২০১২ সালে মিরপুরে সোহাগ গাজী নেন ৭৪ রানে ৬ উইকেট। অভিষেকে যা এখনও বাংলাদেশের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। পরের টেস্টে খুলনায় প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন ১৬৭ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে এক ওভারে ৮ রান দিয়ে উইকেটশূন্য।

মিরাজের আগে অভিষেকে ৫ উইকেট পাওয়া বাংলাদেশের সবশেষ বোলার ছিলেন তাইজুল ইসলাম। যথারীতি প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ! দ্বিতীয় টেস্টে তাইজুলের পারফরম্যান্স ছিল প্রথম ইনিংসে ৮৯ রানে ২ উইকেট, দ্বিতীয় ইনিংসে ৮১ রানে একটি।

মিরাজ ছাড়িয়ে গেলেন পূর্বসূরিদের সবাইকে। কদিন আগেও ছিলেন বয়সভিত্তিক দলের অধিনায়ক। এখন টেস্ট ক্রিকেটে দারুণ শুরুতে দেশের সবার ওপরে। ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে সময়ই। কিন্তু শুরুটায় অসাধারণ কিছুরই ইঙ্গিত!