চার দিনের ম্যাচের দুই টুর্নামেন্ট জাতীয় ক্রিকেট লিগ ও বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে পেসাররা পুরানো বল ব্যবহারের খুব একটা সুযোগ পান না। শুরুতে নতুন বলে কয়েক ওভার সুযোগ মেলে তাদের, বাকি সময়ে হাত ঘুরান স্পিনাররা।
চট্টগ্রামে যে উইকেটে প্রথম টেস্ট হয়েছে সেখানে খেলতে হলে পেসারদের রিভার্স সুইং জানাটা খুব জরুরি মনে করেন মুশফিক।
“এটা এর আগেও আমি বলেছি। একজন বোলার যদি না-ই বোঝে পুরানো বলে কিভাবে বোলিং করতে হবে...। একজন ব্যাটসম্যানকে কিভাবে সেট করতে হয়, কিভাবে পরিকল্পনা করে বোলিং করতে হয়... এগুলো না জানলে কিভাবে একজন বোলারের কাছ থেকে আশা করা যায় টেস্ট ক্রিকেটে বড় একটি দলের বিপক্ষে সে সফল হবে?”
“প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আমাদের কয়জন বোলার পুরানো বলে বল করে? আপনি যদি স্কোরকার্ড দেখেন, সেটা ঘাসের উইকেটেই হোক আর অন্য কোনো উইকেটে... দেখবেন হয়তো স্পিনাররা ৫ উইকেট নিয়েছে, পেসাররা একটা বা দুইটা।”
স্পিনারদের ওপরে বেশি নির্ভরতায় ম্যাচে রিভার্স সুইং নিয়ে কাজ করার খুব একটা সুযোগ মেলে না পেসারদের। তারা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পুরানো বলে বোলিং করতে না পারায় সমস্যাটা টেস্টে পোহাতে হয় অধিনায়ককে।
চট্টগ্রাম টেস্ট ছিল ব্রডের ৯৯তম টেস্ট। বহু বছর ধরে চর্চা করে আজকের অবস্থানে এসেছেন তিনি। বেন স্টোকসও খেলছেন কয়েক বছর ধরে। প্রথম শ্রেণির ৯৯টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতায় পূর্ণ তিনি। তাদের সঙ্গে শফিউল-রাব্বির তুলনায় যেতে রাজি নন মুশফিক।
“শফিউল আর রাব্বি যে খুব খারাপ করেছে তা নয়। তাদের শেখার সুযোগ হয়েছে, এমন উইকেটে প্রত্যেকটি রান যে কত গুরুত্বপূর্ণ, প্রত্যেকটি স্পেল কত গুরুত্বপূর্ণ।”
“পুরনো বলে যে এভাবে রিভার্স করা যায়, আমার মনে হয় তারা খুব ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছে। আশা করি, এখান থেকে তারা এই শিক্ষাটা নেবে। অনেকে হয়তো বলে পেসাররা শুধু নতুন বলে বোলিং করে। কিন্তু পুরানো বলেও যে তাদের অনেক কিছু দেওয়ার আছে, আমার মনে হয় তারা ভবিষ্যতে এই কাজগুলো দেখবে।”