বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সবচেয়ে বেশি ডিসমিসাল এখন মুশফিকের। ৮৭ ডিসমিসাল নিয়ে এতদিন শীর্ষে ছিলেন খালেদ মাসুদ। মুশফিক চট্টগ্রাম টেস্ট শুরু করেছিলেন ৮৬ ডিসমিসাল নিয়ে। আগের দিন মইন আলির ক্যাচ নিয়ে ছুঁয়েছিলেন মাসুদকে, দ্বিতীয় দিন সকালে গেলেন ছাড়িয়ে।
মুশফিকের ৮৮ ডিসমিসালে ৭৭টি ক্যাচ, ১১টি স্টাম্পিং। মাসুদের ক্যাচ ছিল ৭৮টি, স্টাম্পিং ৯টি।
ইনিংস প্রতি ডিসমিসালে অবশ্য এগিয়ে মাসুদ। ৬১ ইনিংসে ৮৭ ডিসমিসাল ছিল মাসুদের। ছাড়িয়ে যেত মুশফিকের লাগল ৭৬ ইনিংস।
মুশফিকের যখন অভিষেক, তখনও উইকেটের পেছনে মাসুদ। ক্যারিয়ারের প্রথম দুই টেস্টে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবেই খেলেছেন মুশফিক। ২০০৭ সালে বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফরে বদল হয় ব্যাটন। সেবার প্রথম টেস্টের পর বাদ পড়েন মাসুদ, দ্বিতীয় টেস্টে কিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে সুযোগ পেয়ে ৮০ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন মুশফিক। সেই থেকে মুশফিকই ভরসা, মাসুদের ক্যারিয়ার শেষ হয় ওখানেই।
আঙুলের চোটের কারণে গত মৌসুমের শেষ তিন টেস্টে কিপিং করেননি মুশফিক। ৪৯ টেস্টের ক্যারিয়ারে শুরুর ওই দুই আর সবশেষ তিন, এই পাঁচ টেস্টেই কেবল কিপিং করেননি মুশফিক।
মুশফিক-মাসুদ ছাড়া মূল উইকেটকিপার হিসেবে টেস্টে বাংলাদেশের কিপিং গ্লাভস সামলেছে আর মাত্র তিনজন। ২ টেস্টে ৪ ডিসমিসাল মোহাম্মদ সেলিমের। ৩ টেস্টে লিটন দাসের ডিসমিসাল ৩টি।
২০০১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে মাসুদের চোটে একটি টেস্টে মূল উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেছিলেন ওপেনার মেহরাব হোসেন। নিয়েছিলেন একটি ক্যাচ।
এছাড়া ম্যাচের মাঝে মাসুদ-মুশফিকের চোটে নানা সময়ে কিপিং করেছেন রাজিন সালেহ, শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ, ইমরুল কায়েস, মাহমুদউল্লাহ। কিপার হিসেবে রাজিনের আছে ক্যাচ, শাহরিয়ার-মাহমুদউল্লাহ করেছেন স্টাম্পিং!
তবে টেস্ট জমানায় কিপার বলতে বাংলাদেশের দুজনই বোঝায়, মাসুদ ও মুশফিক।