এমনিতে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের টেস্ট উইকেটে কখনই রহস্য ছিল না। বেশিরভাগ সময়ই ছিল নিষ্প্রাণ উইকেট। কোনো কোনো টেস্টে উইকেট শুরুতে মন্থর থাকলেও শেষের দিকে ভালো হয়েছে। শেষ দুদিনে দারুণ ব্যাটিং উইকেট হয়ে ওঠার নজিরও আছে কয়েকবার।
তবে এবার বাংলাদেশের টিম ম্যানেজমেন্ট পরিষ্কার একটি বার্তা দিয়েছে মাঠের কিউরেটরকে; চাই টার্নিং উইকেট!
অনেক সময় চাইলেও হুট করে খুব টার্নিং উইকেট তৈরি সম্ভব হয় না। উইকেট খুব বাজে হয়ে গেলে ম্যাচ রেফারির প্রশ্নের মুখে পড়ার শঙ্কা তো আছেই। সব মিলিয়ে দলের চাওয়া অন্তত তৃতীয় দিন থেকে যেন খুব ভালো স্পিন ধরে উইকেটে।
এর আগে অনেকবারই নিষ্প্রাণ উইকেট বানিয়ে ব্যাটসম্যানে ঠাসা দল নিয়ে ড্র করার জন্য মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। এবার যে ভাবনা উল্টো, সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন মুশফিকুর রহিম।
“ফ্ল্যাট উইকেটে ২০ উইকেট নেওয়া কঠিন। সেদিক থেকে বলব, আমরা এবার পরিকল্পনা করেছি অন্যরকম। আমাদের যেটা মূল শক্তি, উইকেট যদি আমাদের স্পিনারদের সাহায্য করে, তাহলে আমাদের সামর্থ্য আছে, মান সম্পন্ন বোলার আছে যারা ২০টি উইকেট নিতে পারে।”
তবে আবহাওয়ার কারণে চাইলেও অনেক সময় চাওয়া মতো উইকেট গড়া সম্ভব হয় না। একাদশ গড়ায় মাথায় রাখতে হচ্ছে এটিও।
“স্কোয়াডে পেসার আছেই তো দুজন। আমরা চেষ্টা করব সেরা কম্বিনেশন গড়তে। আবহাওয়ার ব্যাপার আছে। শেষ মুহূর্তে আবাহাওয়ার কারণে উইকেট বদলে যেতে পারে। এসব আমাদের ভাবতে হচ্ছে।”
“আমাদের স্কোয়াডে যথেষ্ট স্পিনার আছে। আমরা যে পরিকল্পনা করেছি, আশা করি আমাদের সেরা কম্বিনেশন যেটা হবে, তাতে অভিষিক্ত ক্রিকেটারই হোক বা অন্য কেউ, সবার ওপরই আস্থা আছে।”
নেতৃত্বের প্রথম ইনিংসেই ১৭৩ রান করেছিলেন কুক। সেবার পাঁচ দিনে উইকেটের হেরফের কিছু হয়নি। এবারও তার প্রত্যাশা ভালো উইকেট। তবে বাংলাদেশের স্কোয়াড দেখে ইংলিশ অধিনায়কের মনে হচ্ছে অন্যরকম কিছু।
“২০১০ সালে যখন এখানে খেলেছিলাম, উইকেট ভালো ছিল। ওরা যতটা ভেবেছিল, ম্যাচের পরের দিকেও ততটা অবনতি হয়নি উইকেটের। তবে বাংলাদেশ এবার স্কোয়াডে অনেক স্পিনার রেখেছে। আমরা তাই ধারণা করছি পরের দিকে উইকেট টার্ন করবে। উপমহাদেশে তো এমনিতেই প্রথম কয়েকদিন উইকেট ব্যাটিং স্বর্গ থাকে, পরের শেষ দুদিনে দ্রুত অনেক উইকেট পড়ে।”
উইকেট সত্যিই বাংলাদেশ দলের প্রত্যাশা মতো আর কুকের ধারণা মতো হলে, দারুণ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে টস। হয়ত প্রথম দুই, আড়াই দিনই ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো থাকবে উইকেট। তৃতীয় দিন বিকেল থেকেই হয়ত স্পিন-পরীক্ষা!