‘ফুটবল মাঠে’ খেলা নিয়ে সংশয়ে ছিল ইংল্যান্ড

প্রথম দিনে খেলা ভেস্তে গিয়েছিল ভেজা আউটফিল্ডের জন্য। দ্বিতীয় দিন সকালে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে এসেও ইংলিশদের উপলব্ধি, এখানে ক্রিকেটের চেয়ে ফুটবল ভালো হয়! দলের ফিজিও-ডাক্তারদের ভয় চোট-আঘাত নিয়ে। শেষ পর্যন্ত কেবল প্রস্তুতির কথা ভেবেই গা গরমের ম্যাচটি খেলেছে ইংল্যান্ড।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Oct 2016, 02:41 PM
Updated : 15 Oct 2016, 02:42 PM

চট্টগ্রামের এই মাঠে আড়াই মাস আগেই খেলা হয়েছে ফুটবল। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ১৮টি ম্যাচ হয়েছে এখানে। এরপর মাঠ আবার ক্রিকেট উপযোগী করতে হয়েছে। বারবার বাধ সেধেছে বৃষ্টি। নিয়মিত ক্রিকেট হয় না বলে মাঠের ড্রেনেজের অবস্থা যাচ্ছেতাই।

আউটফিল্ড এমনিতেই এখানে খুব ভালো নয়। দুই দিনের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিনে মাঠ ছিল খেলার অনুপযোগী। দ্বিতীয় সকালে মাঠে গিয়েও হতাশ হয় ইংল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত প্রস্তুতিতে ঘাটতি কমাতে খেলার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। এক দিনে দুই দলই ৪৫ ওভার করে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়।

ম্যাচ শেষে স্টুয়ার্ট ব্রড জানালেন, দিনের শুরুতে মাঠে নামা নিয়ে সংশয়ে ছিল দল।

“সকালে মাঠে এসে আমরা নিশ্চিত ছিলাম না যে আমরা শুরু করব কিনা, কারণ গত চার দিনে অনেক বৃষ্টি হয়েছে। এটি ফুটবল মাঠ, আউটফিল্ড তাই ক্রিকেটের জন্য আদর্শ নয়। বেশ প্যাঁচপেচে, বালুকাময় আউট ফিল্ড। আমাদের মেডিকেল স্টাফরা দুর্ভাবনায় ছিল। কারণ এত নরম মাঠে নামা মানে মূলত কাঁদা ও বালিতে ছুটোছুটি করা। সম্ভাব্য ক্ষতির শঙ্কাটা তাই ভাবতেই হয়।”

পরে খেলার সিদ্ধান্ত নিলেও ৪৫ ওভার স্পিন দিয়েই চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইংল্যান্ড। যদিও শেষ পর্যন্ত বোলিং করেছেন ইংল্যান্ডের তিন পেসার।

“আমরা ভেবেছিলাম ৪৫ ওভারই স্পিন বোলিং দিয়ে চালিয়ে দেব, সিমারদের ঝুঁকিতে ফেলব না। কারণ রানআপ বেশ ভেজা ছিল। পরে অবশ্য রান আপ একটু শুকিয়ে ওঠায় সিমারদের দিয়ে বোলিং করানো গেছে কিছুটা।”

শেষ পর্যন্ত এই ম্যাচ থেকে যতটা পাওয়া গেছে, তাতেই খুশি ব্রড।

“কন্ডিশনের বাস্তবতায় যতটা পাওয়া সম্ভব ছিল, আমার মনে হয় আমরা আদায় করে নিতে পেরেছি। গত সপ্তাহ তিনেক শুধু ইনডোরেই অনুশীলণ করতে হয়েছে। মাঠে নামতে পারাটা তাই ছিল দারুণ।”

রোববার থেকে একই মাঠে শুরু দুই দিনের দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচ।