রঞ্জি ট্রফিতে দিল্লির বিপক্ষে মহারাষ্ট্রের হয়ে ৫৯৪ রানের অবিচ্ছন্ন জুটি গড়েছেন গুগালে ও বাউনে। টেস্ট ক্রিকেটে তো বটেই, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও সবচেয়ে বড় জুটির রেকর্ড সাঙ্গাকারা-জয়াবর্ধনের। ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৬২৪ রানের জুটি গড়েছিলেন দুই লঙ্কান গ্রেট।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার সকালে জুটি বেধেছিলেন গুগালে ও বাউনে। ৮.১ ওভারে মহারাষ্ট্রের রান তখন ২ উইকেটে ৪১। এরপর প্রথম দিন অবিচ্ছিন্ন ছিলেন দুজন, আউট হননি দ্বিতীয় দিনও। ১৬৪.৫ ওভার অবিচ্ছিন্ন থেকে শুক্রবার শেষ বিকেলে দলের ইনিংস ঘোষণা করেন গুগালে। মহারাষ্ট্রের রান ২ উইকেটে ৬৩৫।
১৭টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচে আগে দুটি সেঞ্চুরি ছিল গুগালের, সর্বোচ্চ ১৭৪। এবার তিনি অপরাজিত ৩৫১ রানে! বাউনের সেঞ্চুরি ছিল ১৩টি, সবোচ্চ ১৭২। এবার অপরাজিত ২৫৮।
সাঙ্গাকারা-জয়াবর্ধনের মতো গুগালে ও বাউনের জুটিও তৃতীয় উইকেটে। এই উইকেট জুটিতে রেকর্ডটিও তাই হয়নি। তবে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে যে কোনো উইকেটেই এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জুটি।
যে কোনো উইকেটে তৃতীয় সর্বোচ্চ জুটি ৫৮০ রানের। ২০০৯ সালে পাকিস্তানের কায়েদ-এ-আজম ট্রফিতে ওয়াপদার হয়ে দ্বিতীয় উইকেটে এই জুটি গড়েছিলেন রাফাতুল্লাহ মোহমান্দ ও আমির সাজ্জাদ।
চতুর্থ সর্বোচ্চ জুটি বিজয় হাজারে ও গুল মোহাম্মদের ৫৭৭। ১৯৪৭ সালে বরোদার হয়ে হোলকারের বিপক্ষে দুজন এই জুটি গড়েছিলেন চতুর্থ উইকেটে। গুগালে-বাউনে জুটির আগে এটিই ছিল রঞ্জি ট্রফিতে ও ভারতে সবচেয়ে বড় জুটি।
পঞ্চম সর্বোচ্চ জুটি আবার এসেছে টেস্টে। ১৯৯৭ সালে শ্রীলঙ্কার দলীয় সর্বোচ্চ রানের বিশ্বরেকর্ড ইনিংসে দ্বিতীয় উইকেটে ৫৭৬ রানের জুটি গড়েছিলেন সনাৎ জয়াসুরিয়া ও রোশান মাহানামা।
বিশ্ব রেকর্ড হলো না এবার। যে উদ্দেশ্য নিয়ে গুগালে ঘোষণা করেছিলেন ইনিংস, পূরণ হয়নি সেটিও। শেষ বিকেলে ৫ ওভার ব্যাট করে কোনো উইকেট হারায়নি দিল্লি।