সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচের আগেও কমেনি আগের ম্যাচের বিতর্কের উত্তাপ। বৃষ্টি ভেজা বাতাসেও বারুদের গন্ধ। মঙ্গলবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দুই দলের সংবাদ সম্মেলনেও বড় অংশ জুড়ে থাকল আগের ম্যাচের ঘটনার রেশ।
ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যমে ঘটনার পর থেকেই ওই ম্যাচের ঘটনায় আলোচনা-সমালোচনা চলছে। বিদ্ধ করা হয়েছে বাংলাদেশকে। মাশরাফির সংবাদ সম্মেলনে ব্রিটিশ সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন একমাত্র স্কাই স্পোর্টসের প্রতিনিধি। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে টানলেন তিনি একই প্রসঙ্গ।
মাশরাফি জানিয়ে দিলেন, তারা বাটলারের উইকেট শুধু উদযাপন করছিলেন।
“দেখুন, আমরা ব্যাপারটা এভাবে দেখি যে উইকেট পাওয়ার পর আমরা স্রেফ সেলিব্রেট করছিলাম। এটাকে স্বাভাবিকভাবেই নেওয়া উচিত। সব দলই উইকেট পেলে উদযাপন করে। তবে ম্যাচ রেফারি হয়ত ভেবেছেন উদযাপনটা কোড অব কন্ডাক্টের বাইরে হয়ে গেছে, যদিও আমরা সেটা বোঝাতে চাইনি।”
স্কাইয়ের প্রতিনিধির এবার প্রশ্ন, ‘তাহলে কি অমন উদযাপনের জন্য জস বাটলারকে স্যরি বলবেন?’
নরম কণ্ঠেই মাশরাফি বুঝিয়ে দিলেন নিজেদের দৃঢ়তা।
“সত্যি বলতে আমরা কোনো ভুল করিনি। স্যরি বলার কিছু নেই। আমরা স্রেফ উদযাপন করেছি। আমাদের দু:খ প্রকাশ করার কিছু নেই। যা হয়েছে, ম্যাচ রেফারি দেখেছেন এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমি এখনও মনে করি, ছেলেরা স্রেফ উদযাপন করছিল।”
বাংলাদেশের উদযাপন আইসিসি আচরণবিধির বাইরে ছিল বলে ম্যাচ রেফারির অভিমত ম্যাচ শেষে মেনে নিয়েছেন মাশরাফি। স্কাইয়ের প্রতিনিধি প্রশ্ন করলেন সেই মেনে নেওয়া নিয়েও।
মাশরাফির উত্তর, “মেনে নেওয়া ছাড়া আর কোনো বিকল্প তো নেই!”
অধিনায়ক জানালেন, আইসিসিরি আচরণবিধির এই ধারা নতুন বলেই শাস্তি পেতে হয়েছে তাদের।
“আমাদের সেলিব্রেশনটা যেভাবে করেছিলাম আমরা, হয়ত এখন সেটা কোড অব কন্ডাক্টের ভেতর নাই। হয়ত ওই কারণে জরিমানা হয়েছে। হয় কি, মাঠে ওইরকম উত্তেজনাপূর্ণ সময়ে অনেকভাবেই অনেকে উল্লাস করে। এমনকি ইংল্যান্ডের সাথেও আমরা যখন অস্ট্রেলিয়ায় জিতেছি, তখন এভাবেই উল্লাস করেছি। তবে তখন এই ধরনের আইন ছিল না।”
শেষ ম্যাচে অবশ্য এসব পেছনে ফেলে শুধু ক্রিকেটেই মন দিতে চান অধিনায়ক।
“আমাদের দল পুরোপুরি স্বাভাবিক আছে। শতভাগ নিশ্চিত যে আমাদের দল ওসব নিয়ে ভাবছেও না। আমরা ভাবছি কিভাবে ভালো খেলা যায়। আমি নিশ্চিত আমাদের ছেলেরা সবাই চেষ্টা করবে সুস্থির থাকতে এবং সেরা খেলাটা খেলতে।”