সাবেক এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান গত বছর বাংলাদেশে কাজ করে গেছেন হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের প্রধান কোচ হিসেবে। বাংলাদেশের উঠতি প্রতিভা ও জাতীয় দলের আশেপাশে থাকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করা সেই অভিজ্ঞতা লয় শুনিয়েছেন ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে।
সম্ভাবনাময় ক্রিকেটারদের পরের ধাপের জন্য তৈরি করা, আরও শাণিত করা ছিল লয়ের লক্ষ্য। সে সময় যাদেরকে পেয়েছিলেন, তাদের মধ্যে থেকে তিন জনের নাম আলাদা করে বললেন ৪৪ বছর বয়সী এই কোচ।
সীমিত ওভারে ক্রমশ বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে ওঠা সাব্বিরের মাঝে আরও বড় সম্ভাবনা দেখেন লয়।
ক্যাম্পে লয় অভিভূত হয়েছিলেন মোসাদ্দেকের প্রতিভা ও সামর্থ্যে।
“স্পিনের বিপক্ষে সে ব্যতিক্রমী রকমের ভালো এক ব্যাটসম্যান। আমাদের কাজের অংশ ছিল পেস বোলিংয়ের বিপক্ষে ওকে আরও ভালো করে তোলা। আমি ওকে দেখি বাংলাদেশ ক্রিকেটের ভবিষতের সত্যিকার সুপারস্টার হিসেবে।”
মুস্তাফিজকে মাত্র কদিনের জন্যই পেয়ছিলেন লয়। যা বোঝার, বুঝে গিয়েছিলেন তাতেই।
“ওকে প্রথমবার দেখেই আমার হয়েছে ছেলেটি হয়ে উঠতে পারে দারুণ স্পেশাল। আমার মনে হয় না, ওয়াসিম আকরামের পর আর কোনো বোলারকে দেখে আমি এতটা রোমাঞ্চিত হয়েছি। এত কিছু আছে ওর মাঝে, সহজাত গতি, অসাধারণ বৈচিত্র্য, খুবই লড়াকু এবং দারুণ অ্যাথলেট।”
শুধু বোলিং নয়, মুস্তাফিজের ফিল্ডিংয়েও মুগ্ধ লয়। তার মতে, এখন বিশ্বের সেরা ১০ ফিল্ডারের একজন মুস্তাফিজ।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে দেশে ফিরে যান লয়। এরপর গুলশানে এক ইতালিয়ান নাগরিককে গুলি করে হত্যা করা হয়। বাংলাদেশে সফর বাতিল করে অস্ট্রেলিয়া। নিরাপত্তা শঙ্কায় পরে আর বাংলাদেশে ফেরেননি লয়।
নিজে নিরাপত্তা শঙ্কায় বাংলাদেশে না ফিরলেও ইংল্যান্ড দলের বাংলাদেশে আসা উচিত বলে অভিমত দিয়েছিলেন তখন।
বাংলাদেশের তরুণ প্রতিভায় মুগ্ধ হলেও বিসিবির পেশাদারীত্বের জায়গায় পুরোপুরি সন্তুষ্ট ছিলেন না লয়।
“আরও ভালো হতে পারত (বিসিবির যেভাবে পরিচালিত হয়)। দারুণ সম্ভাবনাময় ওরা, কিন্তু লোকে এসব বলছে গত ২০ বছর ধরেই। একটা ব্যাপার আমরা খেয়াল করেছিলাম, আগে কাজ করা কোচদের কোনো নথিপত্র ওখানে ছিল না। পরের কোচকে তাই এক রকম শুরু থেকেই শুরু করতে হতো।”
জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ না করলেও দেখেছেন কাছ থেকে। লয়ের মতে, জাতীয় দলের অনুশীলন সুযোগ-সুবিধা ভালো, তবে আরও ‘অনেক অনেক ভালো হওয়া উচিত’।”