টানা তিন ইনিংসে সেঞ্চুরি করে বাবর নাম লেখালেন রেকর্ড বইয়ে। পাকিস্তানের প্রাপ্তির পাল্লায় যোগ হলো রান খরায় থাকা অধিনায়ক আজহার আলির দারুণ এক সেঞ্চুরি। ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জয়কে পূর্ণতা দিল র্যাঙ্কিংয়ের উন্নতি। ক্যারিবিয়ানদের টপকে পাকিস্তান উঠে গেল আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের আটে।
বুধবার শেষ ম্যাচে আবু ধাবিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৩৬ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান। আগের দুই ম্যাচে জিতেছিল তারা ৫৯ ও ১১১ রানে। এর আগে টি-টোয়েন্টি সিরিজটিও ওয়েস্ট ইন্ডিজ হেরেছিল ৩-০ ব্যবধানে।
রানে ফিরতে মরিয়া আজহার এ দিন শুরু থেকেই খেলেছেন দারুণ। আরেক পাশে স্বভাবসুলভ ঢংয়ে ব্যাট করেছেন শারজিল খান। উদ্বোধনী জুটিতে দুজন তুলেন ৮৫ রান।
দ্বিতীয় উইকেটে ম্যাচের লাগাম পুরোপুরি নিয়ে নেয় পাকিস্তান। আগের ম্যাচে যেখানে শেষ করেছিলেন, বাবর শুরু করেন যেন সেখান থেকেই। আজহার ততক্ষেণ জমে গেছেন উইকেটে। দুজনের জুটি ১৪৭ রানের।
আজহার ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন ১০৭ বলে। তিনটিই পেলেন অধিনায়ক হিসেবে। পাকিস্তানের অধিনায়ক হিসেবে এর আগে কেবল ইনজামাম-উল-হক ও শহিদ আফ্রিদি করতে পেরেছিলেন দুটি সেঞ্চুরি।
বাবর টানা তৃতীয় শতক স্পর্শ করেন ৯৫ বলে। ওয়ানডে ইতিহাসে এই প্রথম ক্যারিয়ারের প্রথম তিন সেঞ্চুরি টানা তিন ইনিংসে পেলেন কোনো ব্যাটসম্যান।
১০৬ বলে ১১৭ করে ফেরেন বাবর। শেষ দিকে ঝড় তুলতে পারেননি পাকিস্তানের কোনো ব্যাটসম্যান। তবু রান হয়ে যায় ৩০৮।
উদ্বোধনী জুটিতে ৪৫ রান তুলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইঙ্গিত দিয়েছিল লড়াইয়ের। কিন্ত এরপরই চিত্র যথারীতি আগের মতোই। ব্যাটসম্যানদের নেই লড়াইয়ের তৃষ্ণা, গড়ে ওঠেনি বড় কোনো জুটি। প্রথম সাত ব্যাটসম্যানই ছুঁয়েছেন দু অঙ্ক, কিন্তু চল্লিশ পর্যন্ত যেতে পারেননি কেউ!
অধিনায়ককে ছাপিয়ে আবারও ম্যাচ সেরা বাবর। তিন ম্যাচ সিরিজের বিশ্বরেকর্ড ৩৬০ রান করে সিরিজের সেরাও ২২ ছুঁইছুঁই এই ব্যাটসম্যান।
১৩ অক্টোবর শুরু হবে দুই দলের ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ৩০৮/৬ (আজহার ১০১, শারজিল ৩৮, বাবর ১১৭, মালিক ৫, সরফরাজ ২৪*, রিজওয়ান ৪, ইমাদ ৪, নওয়াজ ৪*; জোসেফ ২/৬২, গ্যাব্রিয়েল ০/৩৭, ব্র্যাথওয়েট ০/২২, হোল্ডার ১/৬৩, নারাইন ১/৪৭, বেন ১/৫১, পোলার্ড ১/১৯)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪৪ ওভারে ১৭২ (ব্র্যাথওয়েট ৩২, লুইস ২২, ব্রাভো ১৭, স্যামুয়েলস ১৩, পোলার্ড ১১, হোল্ডার ২৬*, নারাইন ০, বেন ০, জোসেফ ২, গাব্রিয়েল ১; ইমাদ ১/২৯, সোহেল ১/৩৪, হাসান ০/১৩, মালিক ১/২৩, নওয়াজ ৩/৪০, ওয়াহাব ২/২৮)।
ফল: পাকিস্তান ১৩৬ রানে জয়ী
সিরিজ: পাকিস্তান ৩-০ ব্যবধানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ ও সিরিজ: বাবর আজম।