রান উৎসবে দক্ষিণ আফ্রিকার আরেকটি সহজ জয়

ফাফ দু প্লেসির শতক আর রাইলি রুশো ও জেপি দুমিনির দুই অর্ধশতকে বিশাল সংগ্রহ গড়া দক্ষিণ আফ্রিকা জিতেছে সহজেই। অস্ট্রেলিয়াকে কম রানে বেধে রেখে দেশটির বিপক্ষে দ্বিতীয় বড় জয় এনে দেওয়ায় দারুণ ভূমিকা বোলারদেরও।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Oct 2016, 04:46 PM
Updated : 2 Oct 2016, 05:28 PM

১৪২ রানে জিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আগামী বুধবার ডারবানে হবে তৃতীয় ওয়ানডে। 

রানের দিক থেকে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়। সর্বোচ্চ ব্যবধান ১৯৬ রানের জয় এসেছিল ২০০৬ সালে কেপ টাউনে অতিথিদের ৯৩ রানে গুঁড়িয়ে দিয়ে।  

রোববার জোহানেসবার্গের নিউ ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ৩৬১ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে ৩৭ ওভার ৪ বলে ২১৯ রানে অলআউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। 

বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় যেমন শুরুর দরকার ছিল তার ধারে কাছেও যেতে পারেনি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এক প্রান্তে অবিচল থেকে অর্ধশতক করেন ডেভিড ওয়ার্নার; কিন্তু আরেক প্রান্তে ছিল ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়া।

সপ্তদশ ওভারেই ৮৭ রানে নেই অস্ট্রেলিয়ার চার উইকেট। শুরুতেই দিক হারানো দলটি আর কখনও ম্যাচে ফিরতে পারেনি।

অর্ধশতক ছুঁয়েই ফিরেন ওয়ার্নার। ম্যাথু ওয়েডের সঙ্গে ৬৯ রানের জুটি গড়া ট্র্যাভিস হেড পান প্রথম অর্ধশতক। কাগিসো রাবাদা তাকে ফিরিয়ে প্রতিরোধ ভাঙার পর বেশিদূর এগোয়নি অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। 

দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার ওয়েইন পার্নেল তিন উইকেট নেন ৪০ রানে। 

এর আগে কুইন্টন ডি ককের সঙ্গে ৭০ রানের উদ্বোধনী জুটিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ভালো সূচনা এনে দেন রাইলি রুশো। প্রথম ম্যাচে ঝড় তোলা ডি কক এবার ফিরেন ২২ রান করেই।  

নিয়মিত বোলাদের বিশ্রাম দেওয়ায় নতুন চেহারা পাওয়া অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণ ব্যর্থ দ্বিতীয় পরীক্ষাতেও। এদিন অভিষেক হওয়া ক্রিস ট্রেম্যাইন ৭৮ রানে নেন ১ উইকেট, জো মেনি ৮২ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।

এবি ডি ভিলিয়ার্সের চোটে সুযোগ পাওয়া রুশো দ্বিতীয় উইকেটে অধিনায়ক দু প্লেসির সঙ্গে গড়েন ৭৬ রানের আরেকটি কার্যকর জুটি। ৮১ বলে ১০টি চারে ৭৫ রান করা রুশোকেও ফেরান ডি কককে বিদায় করা জন হেস্টিংস।

স্বাগতিকদের রানের গতি তাতে কমেনি বরং আরও বাড়ে। তৃতীয় উইকেটে ১৫০ রানের জুটি গড়তে দু প্লেসি-জেপি দুমিনি খেলেন ১৭.৫ ওভার। দুই ব্যাটসম্যান ওভার প্রতি গড়ে নেন ৮.৪১ রান করে।

বোলারদের ওপর বেশি চড়াও হন দুমিনি। ৪৪ বলে অর্ধশতকে পৌঁছানো এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ৫৮ বলে করেন ৮২ রান, ১০টি চার ও তিনটি ছক্কায়।

আগাগোড়া এক তালে ব্যাট করে যাওয়া দু প্লেসি অর্ধশতকে পৌছান ৪২ বলে। ৮৪ বলে তুলে নেন ষষ্ঠ শতক। শেষ পর্যন্ত ৯৩ বলে ১৩ চারে ম্যাচ সেরা এই খেলোয়াড় করেন ১১১ রান। 

শেষের দিকে নিয়মিত উইকেট হারানোয় সংগ্রহ আরও বড় হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

দক্ষিণ আফ্রিকা: ৫০ ওভারে ৩৬১/৬ (ডি কক ২২, রুশো ৭৫, দু প্লেসি ১১১, দুমিনি ৮২, মিলার ২৬, বেহারডিন ১৩, পার্নেল ৮*, ফেহলুকওয়াহো ১৩*; হেস্টিংস ৩/৫৭, মার্শ ২/৬৮, ট্রেম্যাইন ১/৭৮)

অস্ট্রেলিয়া: ৩৭.৪ ওভারে ২১৯ (ফিঞ্চ ১, ওয়ার্নার ৫০, স্মিথ ১৪, বেইলি ৯, মার্শ ১৯, হেড ৫১, ওয়েড ৩৩, হেস্টিংস ২৩, মেনি ১, জ্যামপা ৮, ট্রেম্যাইন ০* ; পার্নেল ৩/৪০, রাবাদা ২/৩১, ফেহলুকওয়াহো ২/৫৯, দুমিনি ১/১৭, তাহির ১/৩১, স্টেইন ১/৩৭)

ফল: দক্ষিণ আফ্রিকা ১৪২ রানে জয়ী

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ফাফ দু প্লেসি