কলকাতা টেস্টের প্রথম ইনিংসে শনিবার ৩১৬ রানে অল আউট হয়েছে ভারত। তবে সেই রানের নাগাল এখন নিউ জিল্যান্ডের জন্য দূরের বাতিঘর। বৃষ্টিবিঘ্নিত দ্বিতীয় দিন শেষে তাদের রান ৭ উইকেটে ১২৮।
ভারতের নতুন বলের দুই বোলার শুরুতেই গুঁড়িয়ে দেন কিউই টপ অর্ডার। টম ল্যাথামকে ফিরিয়ে শুরু করেন মোহাম্মদ শামি। পরে ভুবনেশ্বরের বল স্টাম্পে টেনে আনেন মার্টিন গাপটিল ও হেনরি নিকোলস।
চতুর্থ উইকেটে বিপর্যয় কাটানোর চেষ্টা ছিল রস টেলর ও লুক রনকির ব্যাটে। দারুণ এক স্লাইডারে রনকিকে (৩৫) ফিরিয়ে ৬২ রানের জুটি ভাঙেন রবিন্দ্র জাদেজা। খানিক পরই বৃষ্টি এসে স্বস্তি দেয় কিউইদের।
তবে আড়াই ঘণ্টা পর যখন খেলা শুরু হয়, স্বস্তি উড়ে গিয়ে কিউইরা তখন যেন নরকে! মেঘলা আকাশের নিচে বল সিম ও সুইং করছিল দারুণভাবে, সঙ্গে এই উঁচু এই নিচু বল। আদর্শ কন্ডিশনে ভুবনেশ্বরের নিখুঁত নিশানায় দিশাহারা নিউ জিল্যান্ড। ১৮ রানের মধ্যে তিনটি উইকেট হারায় তারা, তিনটিই নেন ভুবনেশ্বর। পূর্ণ করেন ৫ উইকেট।
১৫ টেস্টের ক্যারিয়ারে ৫ উইকেট পেলেন চারবার। তবে দেশের মাটিতে প্রথম। দিন শেষে শোনালেন স্বপ্ন পূরণের গল্প।
“ভারতে এই ধরনের উইকেট আমরা কালেভদ্রে পাই। আমি তাই চেয়েছি এটি পুরোপুরি কাজে লাগাতে। আমার একটি স্বপ্ন ছিল দেশের মাটিতে ৫ উইকেট নেওয়া। এবার উইকেট দেখেই নিজেকে বলেছিলাম যে ৫ উইকেট নিতেই হবে।”
সকালে ভারতের রান তিনশ’ ছাড়িয়ে যায় ঋদ্ধিমান সাহার ব্যাটে। ঘরের মাঠে লোয়ার অর্ডারদের নিয়ে দারুণ ব্যাট করেছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। মোহাম্মদ শামিকে নিয়ে শেষ উইকটে তুলেছেন মহামূল্য ৩৫ রান। নিজে করেছেন ক্যারিয়ারের তৃতীয় অর্ধশতক।
ম্যাচের প্রেক্ষাপটে ঋদ্ধিমানের ইনিংসটি শেষ পর্যন্ত হয়ে উঠতে পারে বড় নিয়ামক!
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত ১ম ইনিংস: (আগের দিন ২৩৯/৭) ১০৪.৫ ওভারে ৩১৬ (ঋদ্ধিমান ৫৪*, জাদেজা ১৪, ভুবনেশ্বর ৫, শামি ১৪; বোল্ট ২/৪৬, হেনরি ৩/৪৬, ওয়াগনার ২/৫৭, স্যান্টনার ১/৮৩, প্যাটেল ২/৬৬)।
নিউ জিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৩৪ ওভারে ১২৮/৭ (গাপটিল ১৩, ল্যাথাম ১, নিকোলস ১, টেলর ৩৬, রনকি ৩৫, স্যান্টনার ১১, ওয়াটলিং ১২*, হেনরি ০, প্যাটেল ৫*; ভুবনেশ্বর ৫/৩৩, শামি ১/৪৬, জাদেজা ১/১৭, অশ্বিন ০/২৩)।