প্রতীক্ষার অবসানে ফারুককে ছাড়িয়ে মোশাররফ

২০০৮ সালের ১৪ মার্চ খেলেছিলেন সবশেষ ওয়ানডে। মোশাররফ হোসেনের স্মৃতির পাতায় ধুলো জমে যাওয়ার কথা। বাঁহাতি স্পিনার পেলেন যেন নতুন অভিজ্ঞতা। সাড়ে ৮ বছর পর আবার খেলতে নামলেন ওয়ানডে ম্যাচ।

আরিফুল ইসলাম রনিআরিফুল ইসলাম রনিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Oct 2016, 08:52 AM
Updated : 1 Oct 2016, 11:31 AM

আফগানিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডের একাদশে জায়গা পেয়েছেন মোশাররফ। দিন-তারিখ ধরে হিসাব করলে ৮ বছর ২০০ দিন পর আবার ওয়ানডে খেলছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। ম্যাচের হিসাবে ধরা হোক বা সময়ের হিসেবে, বাংলাদেশের হয়ে দুটি ওয়ানডে খেলার মাঝে এত বিরতি ছিল না আর কারও।

সময়ের হিসেবে রেকর্ডটি এতদিন ছিল ফারুক আহমেদের। ১৯৯০ সালের ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচের পর ফারুক আবার ওয়ানডে ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন ১৯৯৯ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। মাঝে পেরিয়ে গেছে তত দিনে ৮ বছর ১৪৪ দিন!

মোশাররফের সবশেষ ওয়ানডের পর এই ম্যাচের আগ পর্যন্ত মোট ১৪৫টি ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ। ম্যাচের হিসেবে এর আগে দুই ওয়ানডের মাঝে সবচেয়ে বিরতির পর খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন ফয়সাল হোসেন। ২০০৪ এশিয়া কাপে পাকিস্তানের হয়ে খেলার পর এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান আবার খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন ২০১০ সালের ইংল্যান্ড সফরে। এই দুই ম্যাচের মাঝে বাংলাদেশ ম্যাচ খেলেছিল ১৩১ টি।

বিশ্ব রেকর্ডে অবশ্য দুই বিবেচনাতেই অনেকটা পেছনে মোশাররফ। সময়ের হিসেবে রেকর্ডটা জেফ উইলসনের। ১৯৯৩ সালের মার্চের পর আবার ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন নিউ জিল্যান্ডের এই অলরাউন্ডার। মাঝে পেরিয়ে গেছে ১১ বছর ৩৩১ দিন!

১৯৯৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সবশেষ ম্যাচ খেলেছিলেন অ্যান্ডারসন কামিন্স। ২০০৭ সালে আবার তিনি মাঠে নামেন স্কটল্যান্ডের হয়ে। দুই বারের মাঝে বিরতি ছিল ১১ বছর ৩০ দিন।

দুই ওয়ানডে খেলার মাঝে ইংলিশ অফ স্পিনার শন ইউডালের বিরতি ছিল ১০ বছর ২০৭ দিন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফ্লয়েড রেইফার সুযোগ পেয়েছিলেন ১০ বছর ১৬৯ দিন অপেক্ষার পর।

সময়ের মতো ম্যাচের হিসেবেও রেকর্ডটি উইলসনের। এই অলরাউন্ডারের বাদ পড়া ও ফেরার ম্যাচের মাঝে নিউ জিল্যান্ড খেলেছে ২৭১টি ওয়ানডে! ফ্লয়েড রেইফারের দুই ম্যাচের মাঝে ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলেছিল ২৫৪ ম্যাচ।

এটি এমন এক রেকর্ড, যেটিতে নাম লেখাতে চান না কোনো ক্রিকেটারই। মোশাররফও নিশ্চয়ই পরের ওয়ানডে খেলার আগে আবার গুণতে চাইবেন না অপেক্ষার প্রহর!