সিলেটে শেষ দিন চা-বিরতির ঘণ্টাখানেক আগে যখন শেষ হলো চট্টগ্রামের ইনিংস, চতুর্থ ইনিংসে রংপুরের লক্ষ্য তখন ২৬৫। ম্যাড়ম্যাড়ে ড্রকেই মনে হচ্ছিল সম্ভাব্য পরিণতি। আরিফুল হক ও মাহমুদুলের দারুণ ব্যাটিংয়ে সেই ম্যাচেই ফিরেছিল প্রাণ। শেষ পর্যন্ত রংপুর ৪৩ ওভারে ৫ উইকেটে ২২৪ রান করার পর শেষ হয় ম্যাচ।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের প্রথম সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন মাহমুদুল। ম্যাচ জয়ের মতো সেটাও থেকে গেছে অধরা। অপরাজিত ছিলেন ৮৯ বলে ৮৫ রানে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটিই এই অলরাউন্ডারের সর্বোচ্চ ইনিংস।
রংপুরের রান তাড়ার শুরুটায় কিন্তু ছিল না রোমাঞ্চের ইঙ্গিত। ওপেনার সায়মন আহমেদ খানিকটা তৎপর থাকলেও আরেক ওপেনার সোহরাওয়ার্দী শুভর ব্যাটিংয়ে ছিল না কোনো তাড়া।
এর আগে ৫ উইকেটে ১৫১ রান নিয়ে দিন শুরু করে চট্টগ্রাম। দিনের শুরুতেই হারায় তারা ২ উইকেট। ইরফান শুক্কুরের ৪১ ও ৯ নম্বরে নেমে নূর হোসেন মুন্নার ৩৫ রানে এদিন তারা যোগ করতে পারে আর ১০০ রান। সোহওয়ার্দী শুভ নেন ৫ উইকেট।
শেষ পর্যন্ত ওই রান যথেষ্ট হয়ে যায় ড্রয়ের জন্য। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকটের পর দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেট নিয়ে অভিষেকেই ম্যাচ সেরা মিশু।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস: ৩৬৮
রংপুর ১ম ইনিংস: ৩৫৫
চট্টগ্রাম ২য় ইনিংস: (আগের দিন ১৫১/৫)(শুক্কুর ৪১, সাজ্জাদুল ৫, সাইফুদ্দিন ৫, নূর ৩৫, মিশু ১৬, হোসাইন ০*; আলাউদ্দিন ২/৪৪, শুভাশিস ২/৪৯, সাজেদুল ০/২৩, মাহমুদুল ১/৩৭, তানভির ০/২৯, সোহরাওয়ার্দী ৫/৫০, নাঈম ০/৩)।
রংপুর ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ২৬৫) ৪৩ ওভারে ২২৪/৫ (সায়মন ২২, সোহরাওয়ার্দী ২৭, মাহমুদুল ৮৫*, আরিফুল ৬৩, নাঈম ৮, আলাউদ্দিন ০, ধিমান ৮*; সাইফুদ্দিন ১/৬৭, হোসাইন ০/৩৯, মিশু ২/৪৮, তাসামুল ২/৫৮, নূর ০/৯)।
ফল: ম্যাচ ড্র
ম্যান অব দা ম্যাচ: ইয়াসির আরাফাত মিশু