এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতেছে সরফরাজ আহমেদের দল। তিন ম্যাচের সিরিজে এটাই পাকিস্তানের প্রথম হোয়াইটওয়াশ।
মঙ্গলবার আবু ধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ১০৩ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে ১৫ ওভার ১ বলে ২ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান।
লক্ষ্য তাড়ায় ৪০ রানের মধ্যে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে হারায় পাকিস্তান। শারজিল খান ও খালিদ লতিফকে ফিরিয়ে দেন অভিষিক্ত পেসার কেসরিক উইলিয়ামস।
তবে বাবর আজম ও শোয়েব মালিকের ব্যাটে বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে পাকিস্তান।২৪ বলে ২৭ রান করেন বাবর। ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জয় এনে দেওয়া মালিক ৩৪ বলে করেন ৪৩ রান। অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেটে দুই জনে গড়েন ৬৮ রানের জুটি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইলিয়ামস ১৫ রানে নেন দুই উইকেট।
এর আগে শুরুটা ভালো হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ইমাদ ওয়াসিমের স্পিনে নবম ওভারে ৩১ রানের মধ্যে চার উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি।
ইমাদের ওপর চড়াও হতে গিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের তিন ব্যাটসম্যান জনসন চার্লস, চ্যাডউইক ওয়ালটন ও ডোয়াইন ব্রাভো ফিরেন বোল্ড হয়ে। সোজা বলে উইকেট তিনটি পেয়েছেন এই সিরিজে পাকিস্তানের সেরা বোলার বাঁহাতি স্পিনার ইমাদ।
মোহাম্মদ নওয়াজকে ছক্কা হাঁকানোর পর তার পুনরাবৃত্তি করতে গিয়ে ফিরে যান নিকোলাস পুরান (১৬)। অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেটে ৩৭ রানের জুটিতে দলের সংগ্রহ একশ’ পার করেন মারলন স্যামুয়েলস ও কাইরন পোলার্ড।
৭.২ ওভার স্থায়ী জুটিতে ১৭ বলে ১৬ রান করে পোলার্ড। ৫৯ বলে তিনটি চারে ৪২ রান আসে স্যামুয়েলসের ব্যাট থেকে।
পাকিস্তানের সব বোলার ওভার প্রতি ৬ রানের নিচে দেন। ধারাবাহিকভাবে ভালো লাইন, লেংথে বল করে অতিথিদের কম রানে বেধে রাখেন তারা।
২১ রানে তিন উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সেরা বোলার ইমাদ। অভিষিক্ত রুম্মান রাইস ৩ ওভারে ১০ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য। সাবেক পেসার ওয়াকার ইউনুসের কাছ থেকে টুপি পাওয়া এই বাঁহাতি পেসার ছিলেন এদিন সবচেয়ে হিসেবী।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২০ ওভারে ১০৩/৫ (চার্লস ৫, ফ্লেচার ৯, ওয়ালটন ০, স্যামুয়েলস ৪২*, ব্রাভো ১১, পুরান ১৬, পোলার্ড ১৬*; ইমাদ ৩/২১, নওয়াজ ১/১৬)
পাকিস্তান: ১৫.১ ওভারে ১০৮/২ (শারজিল ১১, লতিফ ২১, বাবর ২৭*, মালিক ৪৩*; উইলিয়ামস ২/১৫)
ফল: পাকিস্তান ৮ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: ৩-০ ব্যবধানে জয়ী পাকিস্তান