পরিসংখ্যানের বিচারে হাবিবুলকে ছাড়িয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের সফলতম অধিনায়ক এখন মাশরাফি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডের জয় ছিল মাশরাফির নেতত্বে বাংলাদেশের ৩১তম জয়। হাবিবুলের নেতৃত্ব বাংলাদেশ জিতেছিল ৩০ ম্যাচ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের খবরেই মাশরাফি জানতে পেরেছেন সফলতম হওয়ার অর্জন। জানালেন ভালো লাগা আছে, তবে এটিকে খুব বড় কিছু মনে করছেন না। কৃতিত্ব দিলেন সতীর্থদের।
“এ রকম একটা অর্জনে ভালো না লাগার কারণ নেই। বিশেষ করে যে পরিস্থিতিতে এবার নেতৃত্ব পেয়েছিলাম। আগেও কয়েকবার অধিনায়কত্ব পেয়ে চোটের কারণে বাইরে যেতে হয়েছে। এবার আল্লাহর রহমতে বেশ কিছু দিন টানা খেলতে পারছি। এটাই প্রথম আনন্দ।”
“অধিনায়কত্বের অর্জন কখনোই একার কিছু নয়। দল ভালো করেছে বলে, ছেলেরা সবাই নিজেদের উজার করে দিয়েছে বলেই আমরা ম্যাচের পর ম্যাচ জিততে পেরেছি।”
হাবিবুলের চেয়ে ৩৪ ম্যাচ কম খেলেই জয় সংখ্যায় তাকে ছাড়িয়ে গেছেন মাশরাফি। ৮৭ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন হাবিবুল, মাশরাফি ৫৩ ম্যাচে। তবু মাশরাফি এগিয়ে রাখছেন সাবেক অধিনায়ককেই।
“কারও কাছ থেকে রেকর্ড নেওয়া বা দেওয়ার ব্যাপার না। খেলতে খেলতে রেকর্ড হয়ে যায়। আমি সবসময়ই বলি, সুমন ভাই (হাবিবুল বাশার) আমাদের সেরা অধিনায়ক। আমাদের ক্রিকেটের ঘুরে দাঁড়ানোর পথে প্রথম টার্নিং পয়েন্ট।”
“আমি সুমন ভাইয়ের নেতৃত্বে অনেক দিন খেলেছি। উনি সবার জন্যই স্বস্তির একটা পরিবেশ দিতেন দলে। ঠাণ্ডা মাথায় সব সামলাতেন। আমি এখন বুঝি কাজটা কত কঠিন। উনি সেসব খুব ভালো ভাবে করেছেন। তখনকার বাস্তবতায় তার ৩০টি জয় আসলে ৫০টি জয়ের সমান। আমার মতে সুমন ভাই-ই এখনও সেরা।”
সফলতম হয়ে তৃপ্ত নন মাশরাফি। সামনে বাংলাদেশের লম্বা ও কঠিন মৌসুম। অধিনায়ক ভাবছেন সেই চ্যালেঞ্জ নিয়ে। এগোতে চান একটি করে ম্যাচ ধরে।
“দায়িত্ব যখন পেয়েছিলাম, তখন সামনে ছিল কঠিন পথ। বিশ্বকাপ তখন খুব কাছে। সেখানে ভালোই করলাম। তারপর হাঁফ ছাড়ার সুযোগ ছিল না। পাকিস্তান-ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একের পর এক সিরিজ। সেই মৌসুমটা ভালোভাব শেষ হয়েছে। লম্বা বিরতির পর এখন আবার সামনে অনেক খেলা, প্রায় সবই বিদেশে। অপেক্ষায় আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ।”
“আমি অবশ্য দূরেরটা ভাবি না। পরের ম্যাচটা নিয়েই ভাবি, ভাবছি। লক্ষ্য থাকে প্রতিটি ম্যাচ জেতা। জয়ের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা। সেভাবেই এগোতে চাইব।”