এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল পাকিস্তান। আগামী মঙ্গলবার আবু ধাবিতে হবে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি।
শনিবার দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ১৬০ রান করে পাকিস্তান। জবাবে ৯ উইকেটে ১৪৪ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাটিং ব্যর্থতায় শুরুতেই দিক হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুই অঙ্কেই যেতে পারেননি এভিন লুইস, মারলন স্যামুয়েলস। জনসন চার্লস, ডোয়াইন ব্রাভো দুই অঙ্কে গেলেই নিজেদের ইনিংস খুব একটা বড় করতে পারেননি।
পাকিস্তানের বোলারদের আঁটসাঁট বোলিংয়ে রানের জন্য সংগ্রাম করতে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের। ১০ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ৪৫ রান।
দুবাইয়ের উইকেটে শেষ ১০ ওভারে ১১৬ রান খুব কঠিন হলেও অসম্ভব ছিল না। কিন্তু সেই লক্ষ্যে পৌঁছতে যে ঝড় দরকার ছিল তা তুলতে পারেননি কেউই।
দীর্ঘ সময়ে উইকেটে থেকে আন্দ্রে ফ্লেচার ফিরেন ২৯ রান করে। কাইরন পোলার্ড বিদায় নেন এক ছক্কা-চারে ১৮ রান করে। শেষটায় এলোমেলো বোলিং আর সুনিল নারাইনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
পাকিস্তানের সোহেল তানভির এক রানের জন্য নিজের ক্যারিয়ার সেরা বোলিং স্পর্শ করতে পারেননি। ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি এই পেসার। হাসান আলিও নেন তিনটি উইকেট।
এর আগে শুরুতেই শারজিল খানকে ফিরিয়ে দেন লেগ স্পিনার স্যামুয়েল বদ্রি। শুরুতেই উইকেট নেওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ চেপে ধরতে পারেনি পাকিস্তানকে। বাবর আজমের (১৯) সঙ্গে ৫৪ রানের জুটিতে শুরুতে প্রতিরোধ গড়েন খালিদ লতিফ।
৩৬ বলে ৪০ রান করে লতিফের বিদায়ের পর শোয়েব মালিকের সঙ্গে জুটি বাধেন সরফরাজ আহমেদ। শূন্য রানে জীবন পাওয়া মালিকের অধিনায়কের ৬৯ রানের জুটিতে দেড়শ’ ছাড়ায় পাকিস্তানের সংগ্রহ। ২৮ বলে তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ৩৭ রান করেন মালিক।
সরফরাজ অপরাজিত থাকেন ৪৬ রানে। তার ৩২ বলের ইনিংসটি ৫টি চার সমৃদ্ধ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৬০/৪ (শারজিল ২, লতিফ ৪০, আজম ১৯, মালিক ৩৭, সরফরাজ ৪৬*, আকমল ১*; বদ্রি ১/২৪, ব্র্যাথওয়েইট ১/২৪, ব্রাভো ১/৩৮)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: (চার্লস ১০, লুইস ৩, ফ্লেচার ২৯, স্যামুয়েলস ১, ব্রাভো ১৮, পোলার্ড ১৮, ব্র্যাথওয়েইট ৮, পুরান ৪, নারাইন ৩০, টেইলর ১০*; তানভির ৩/১৩, হাসান ৩/৪৯, ইমাদ ১/১৮, নওয়াজ ১/১৯, ওয়াহাব ১/৪২)
ফল: পাকিস্তান ১৬ রানে জয়ী