উইকেটের দিক থেকে এটা পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় জয়। এর আগে ৮ উইকেটের তিনটি জয় রয়েছে তাদের।
নতুন অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের অধীনে জয় দিয়ে শুরু করায় দারুণ অবদান বোলারদের। তাদের দাপটেই টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৩৫ রানের বেশি করতে পারেনি ইংল্যান্ড। ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে বুধবার ১৪ ওভার ৫ বলে শারজিল খানের উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য পৌঁছে যায় পাকিস্তান।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে পাঁচ ম্যাচ পর জিতল পাকিস্তান। ইংল্যান্ড টানা চার ম্যাচ জেতার পর টাই হয় শেষ ম্যাচ।
বুধবার লক্ষ্য তাড়ায় পাকিস্তানকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন শারজিল ও খালিদ লতিফ। দারুণ সব শট খেলে ১১.১ ওভারে এই দুই জনে গড়েন ১০৭ রানের জুটি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দলকে প্রথম শতরানের জুটি এনে দেওয়ার পথে শারজিল করেন ৫৯ রান। বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের ৩৬ বলের ইনিংসটি গড়া ৭টি চার ও তিনটি ছক্কায়।
এই একটি ম্যাচ খেলার জন্য দলে আসা লতিফও পেয়েছেন অর্ধশতক। ৪২ বলে ৮টি চার ও দুটি ছক্কায় ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। অভিষেকে ১১ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন বাবর আজম।
টি-টোয়েন্টি অভিষেকে জো রুট ও বেন স্টোকসের উইকেট নিয়েছেন হাসান। দুই ব্যাটসম্যানের কাউকেই দুই অঙ্ক পর্যন্ত যেতে দেননি এই পেসার। ঝড় তোলার আগেই ফিরে যান জস বাটলার, ওয়েন মর্গ্যান ও ডেভিড উইলি।
চতুর্থ ওয়ানডেতে ১১০ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকা ওয়াহাব খেলেননি পরের ম্যাচ। দুঃস্বপ্নের মতো কাটানো সেই ম্যাচ পেছনে ফেলে জ্বলে উঠেছেন পাকিস্তানের এই বাঁহাতি পেসার। ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়ে তিনিই ম্যাচ সেরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৩৫/৭ (রয় ২১, হেলস ৩৭, রুট ৬, বাটলার ১৬, মর্গ্যান ১৪, স্টোকস ৪, মইন ১৩*, উইলি ১২, প্লাঙ্কেট ০*; ওয়াহাব ৩/১৮, হাসান ২/২৪, ওয়াসিম ২/১৭)
পাকিস্তান: ১৪.৫ ওভারে ১৩৯/১ (শারজিল ৫৯, লতিফ ৫৯*, আজম ১৫*; রশিদ ১/২৯)
ফল: পাকিস্তান ৯ উইকেটে জয়ী
ম্যাচ সেরা: ওয়াহাব রিয়াজ