কদিন আগেই ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ দলীয় স্কোরের রেকর্ডটি শ্রীলঙ্কা হারায় ইংল্যান্ডের কাছে। এবার টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ দলীয় ইনিংসের রেকর্ডে লঙ্কানদের পেছনে ফেলল অস্ট্রেলিয়া। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাল্লেকেলেতে অতিথিরা তুলেছে ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ২৬৩!
২০০৭ সালের টি-টোয়ন্টি বিশ্বকাপে কেনিয়ার বিপক্ষে ৬ উইকেটে ২৬০ রান তুলেছিল শ্রীলঙ্কা।
ব্যক্তিগত রেকর্ড করতে না পারলেও দলীয় রেকর্ডের মূল কারিগর ম্যাক্সওয়েলই। ওয়ানডে দল থেকে বাদ পড়ার পর দেশের হয়ে প্রথম ম্যাচ। ক্যারিয়ারে প্রথমবার নেমেছিলেন ইনিংস শুরু করতে। ২০ ওভার খেলে বিস্ফোরক ইনিংসে ৬৫ বলে অপরাজিত ১৪৫!
বিশ্ব রেকর্ডটি চোট নিয়ে এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার ডাগ আউটে থাকা অ্যারন ফিঞ্চের। ২০১৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন ১৫৬!
বিশ্বরেকর্ড না হলেও একটি প্রথম কীর্তির জন্ম অবশ্য দিয়েছেন ম্যাক্সওয়েল। টি-টোয়েন্টিতে প্রথমবার ওপেন করতে নামা কোনো ব্যাটসম্যানের এটিই প্রথম সেঞ্চুরি। আগের সর্বোচ্চ ৯৬ ছিল এই ম্যাচের ধারাভাষ্য কক্ষে থাকা ডেমিয়েন মার্টিনের।
টস জিতে শ্রীলঙ্কা ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে। ঝড়ের শুরু ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ম্যাক্সওয়েলের উদ্বোধনী জুটিতেই। তবে রেকর্ড গড়া ইনিংসের ইঙ্গিত ছিল না ইনিংসের মাঝপথেও। ১০ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়া রান ছিল ১১০। পরের ১০ ওভারে এসেছে ১৫৩!
ওয়ার্নার (১৬ বলে ২৮) ও ম্যাক্সওয়েল উদ্বোধনী জুটিতে তোলেন ২৯ বলে ৫৭ রান। দ্বিতীয় উইকেটে উসমান খাওয়াজার (২২ বলে ৩৬) সঙ্গে ম্যাক্সওয়েলের জুটি ৫১ বলে ৯৭ রানের!
অর্ধশতক স্পর্শ করতে ২৭ বল খেলেছিলেন ম্যাক্সওয়েল। পরের পঞ্চাশে লেগেছে ২২ বল। ৯৮ রান থেকে সুরঙ্গা লাকমলের নো বলে দুই রান নিয়ে নিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি স্পর্শ করেছেন ৪৯ বলে।
সেঞ্চুরির পর আরও মারমুখী তার ব্যাট। আরেকপাশে হেড চালান তাণ্ডব। তৃতীয় উইকেটে মাত্র ৪০ বলে ১০৯ রানের জুটি গড়েছেন দুজন!
ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়া হেড করেছেন ১৮ বলে ৪৫। আর ১৪ চার ও ৯ ছক্কায় ৬৫ বলে অপরাজিত ১৪৫ ম্যাক্সওয়েল।
অস্ট্রেলিয়ানদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি লঙ্কানদের বাজে বোলিংয়ের দায় ছিল এই রান উৎসবে। প্রচুর ফুল টস ও হাফভলি বল করেছেন বোলাররা।