রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির প্রধান সাইফুল আলম এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের টুর্নামেন্ট বিসিএলের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন তারা।
আগামী ২০ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়ার কথা ছিল বিসিএল। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের খেলার কথা ছিল এই প্রতিযোগিতার প্রথম এক-দুটি রাউন্ডে। কিন্তু আফগানিস্তান সিরিজ নিশ্চিত হওয়ায় সেটি আর সম্ভব নয়। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো স্বাভাবিকভাবেই জাতীয় ক্রিকেটারদের ছাড়া খেলতে নারাজ। তাই মৌসুম শুরু হবে বিসিএল দিয়ে।
বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান পুরনো ব্যাখ্যাই দিলেন নতুন করে, “বিসিএলের ফ্যাইঞ্জাজিগুলো অনেক বিনিয়োগ করে। ওই সময় জাতীয় দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড় ব্যস্ত থাকবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে।”
গত নভেম্বরে সর্বশেষ ওয়ানডে খেলেছিল বাংলাদেশ। টেস্ট খেলেছিল আরও আগে, গত বছরের মার্চে। দুই সংস্করণেই বাংলাদেশ খেলবে লম্বা বিরতিতে। আকরাম জানান, তাই যত বেশি সম্ভব ক্রিকেটারদের খেলায় সম্পৃক্ত করতে এনসিএল আয়োজন করছেন তারা।
“জাতীয় লিগে যদি জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের সুযোগ থাকে তাহলে তারা খেলবে। আমরা এর আগে লিগ থেকে প্রয়োজনে খেলোয়াড়দের (জাতীয় দলে) নিয়ে এসেছি। এবারও সেটাই করব। আমরা চেষ্টা করব যারা কম খেলার সুযোগ পেয়েছে তাদের সেখানে খেলানোর।”
টুর্নামেন্ট কমিটির সভায় ম্যাচ ফি বাড়ানোসহ আরও কয়েকটি প্রস্তাব এসেছে বলে জানান সাইফুল। তবে এই ব্যাপারে তারা সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার ছেড়ে দিয়েছেন বোর্ডের ওপর।”