আগামী ২ শুক্রবার দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ দল। সফরে দুটি করে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে খেলবে তারা।
২০১২ সাল আয়ারল্যান্ড সফরে ওয়ানডেতে কোনো জয় পায়নি বাংলাদেশ। সেবারই নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পায় তারা। রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনার সেই ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ১ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ।
এর আগের বছর নিজেদের প্রথম এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচেও প্রতিপক্ষ হিসেবে আয়ারল্যান্ডকে পেয়েছিল বাংলাদেশ। দেশের মাটিতে বড় জয় দিয়ে ওয়ানডেতে যাত্রা শুরু করেছিল তারা।
জাহানারা মনে করেন, এই সবই এখন ইতিহাস। মানছেন আয়ারল্যান্ডে শেষ সফরটি ততটা ভালো হয়নি। তবে নিজেদের কতটা উন্নতি হয়েছে তার প্রমাণ দেখাতে চান এই সফরে। জানালেন এবার নিজেদের পুরোপুরি মেলে ধরতে প্রস্তুত তার দল।
“২০১২ সালে আমরা যখন খেলেছিলাম, তখন আমাদের দলে যে কয়জন সিনিয়র খেলোয়াড় ছিল, এই দলে তার চেয়ে বেশি রয়েছে। এখন অভিজ্ঞতা আরও বেড়েছে। আমাদের মানসিকতার এখন অনেক পরিবর্তন হয়ছে। আমরা এখন আগের চেয়ে বেশি অনুশীলন করছি। আমার বিশ্বাস, বর্তমান দলটা অনেক বেশি ভালো এবং আমরা অনেক ভালো করব।”
২০১৪ সালের সর্বশেষ ওয়ানডেতে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৫ অক্টোবরে পাকিস্তানে স্বাগতিকদের সঙ্গে খেলে আসার পর আর এই সংস্করণে খেলার সুযোগ মেলেনি বাংলাদেশে মেয়েদের।
গত মার্চেই মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছে বাংলাদেশ। এই সংস্করণে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজে নিজেদের সর্বশেষ জয়টি এসেছিল সেই ২০১২ সালে, দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।
জাহানারা জানান, জেতার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন তার সতীর্থরা। আয়ারল্যান্ড সফরে জয় ছাড়া আর কিছু ভাবছেন না তারা।
“আমাদের লক্ষ্য থাকবে সব ম্যাচ জেতা। দুটি করে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি আছে। আমরা চারটি ম্যাচ জিতেই দেশে ফিরতে চাই। ”
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এ পর্যন্ত তিনটি ওয়ানডে খেলে একটিতে জিতেছে বাংলাদেশ, হেরেছে একটিতে, পরিত্যক্ত হয়েছে অন্য ম্যাচটি। দুই দল এ পর্যন্ত খেলেছে তিনটি টি-টোয়েন্টি, যার দুটিতে জিতেছে বাংলাদেশ, হেরেছে অন্যটিতে।
আয়ারল্যান্ডের কন্ডিশনের সঙ্গে দ্রুততম সময়ের মধ্যে মানিয়ে নেওয়াতে বড় চ্যালেঞ্জ দেখছেন পেসার জাহানারা।
“এখানে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে অনুশীলন করেছি আর ওখানে গিয়ে তীব্র শীতের মধ্যে ম্যাচ খেলতে হবে। আমরা আয়ারল্যান্ডে অনুশীলনের জন্য এক দিন সময় পাব। মাঠে নামার জন্য একদিনের অনুশীলন যথেষ্ট নয়। তারপরও আমরা চেষ্টা করব যতটুকু সময় পাই সেটা কাজে লাগাতে।”
ম্যাচ বেশি খেলতে না পারার আক্ষেপ আবার জানালেন জাহানারা। ২০১১ সালে নিজেদের প্রথম ওয়ানডে খেলার পর এই সংস্করণে মোটে ১৮টি ম্যাচ খেলতে পেরেছেন তারা-সেগুলোও লম্বা বিরতিতে। এবারই যেমন খেলবেন ১১ মাস পর।
“খেলোয়াড়দের কাছ থেকে সেরাটা বের করে আনতে প্রচুর ম্যাচ খেলা দরকার। সেখানে আমাদের খেলতে হচ্ছে লম্বা-লম্বা বিরতিতে। এই বিরতির কারণেই হয়তো (সেরাটা দেওয়া) সম্ভব হচ্ছে না।”