ঈদের পর আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলতে পারে বাংলাদেশ। এই সিরিজ দিয়ে চলতি বছর নিজেদের প্রথম ওয়ানডে খেলবে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। চলতি বছর শুধু টি-টোয়েন্টিই খেলেছেন তারা, যার সর্বশেষটি ছিল গত মার্চে।
রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাংবাদিকদের আফগানিস্তান সিরিজ নিয়ে নিজের ভাবনার কথা জানান আল আমিন।
“আফগানিস্তান আসবে কি না আমরা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানি না। যদি আসে তাহলে চ্যালেঞ্জও বলতে পারেন আবার প্রস্তুতির ভালো মঞ্চও বলতে পারেন। ওরা ভালো ক্রিকেট খেলছে। অন্যদিকে আমরা অনেক দিন ক্রিকেট থেকে বাইরে। এজন্য আমাদের প্রমাণ করতে হবে যে, আমরা ভালো।”
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আসবে ইংল্যান্ড। সফরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ও দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে তারা।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে এ পর্যন্ত দুটি ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ। ২০১৪ আসরে দেশের মাটিতে এশিয়া কাপে হেরেছিল তারা। গত বছর বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ায় হারিয়েছে বাংলাদেশ।
দেশের মাটিতে টানা পাঁচটি ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। সেদিক থেকে আল আমিনদের আত্মবিশ্বাস এখন তুঙ্গে, “আমাদের বিশ্বাস ওরা আমাদের কাছে পাত্তাই পাবে না। আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ ওদেরকে সবগুলো ম্যাচ হারানোর.. যতগুলো ম্যাচ আছে সেগুলো ভালো করা। তাহলে ইংল্যান্ডে আগের বড় প্রাপ্তি হবে, অভিজ্ঞতা বাড়বে।”
কাঁধে অস্ত্রোপচার করানো মুস্তাফিজুর রহমানকে আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাবে না বাংলাদেশ। আল আমিন মনে করেন, অন্য পেসারদের এগিয়ে এসে তার অভাব পূরণ করতে হবে।
“মুস্তাফিজ, তাসকিন, রুবেল ভাই কিংবা মাশরাফি ভাই, আমি .. যে যখন সুযোগ পেয়েছি নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করছি। মুস্তাফিজের ফিরতে ছয় মাস সময় লাগবে। এ জায়গায় তাসকিন, রুবেল ভাই, মাশরাফি ভাই কিংবা আমি যেই থাকি না কেন খুব বড় চ্যালেঞ্জ হবে। কারণ ওর যেই ভিন্নতা, ওর যে অস্ত্র সেগুলো আমাদের কারোরই নাই। এজন্য আমাদেরকে আমাদের সেরাটা দিতে হবে।”