হিথ স্ট্রিক চলে যাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ দলে নেই বোলিং কোচ। খেলা ছিল না বলে অভাবও খুব একটা বোধ হয়নি। গত ২০ জুলাই থেকে ইংল্যান্ড সিরিজের ক্যাম্প শুরু হলেও প্রথম এক মাস ছিল শুধু ফিটনেস ট্রেনিং। তখনও লাগেনি বোলিং কোচ।
তবে স্কিল ট্রেনিং শুরু হওয়ার পর বোলিং কোচের অভাব না জেগে পারেই না। রোববার বিসিবিতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আল আমিন জানালেন, আপাতত কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন দলের ট্রেনার।
“ট্রেনার আপাতত আমাদের টুকটাক সাহায্য করছেন। ও তো পেস বোলার ছিল। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও দীর্ঘদিন খেলেছে। ও যতটুকু পারে ততটুকু চেষ্টা করছে।”
বাংলাদেশের ট্রেনার ভিল্লাভারায়ন ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ছিলেন মিডিয়াম ফাস্ট বোলার। এক যুগের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে ১১৬ ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ৩৭৮ উইকেট। পরে অস্ট্রেলিয়া গিয়ে কোচিং কোর্স করে এবং এক্সারসাইজ সায়েন্সে ডিগ্রি নিয়ে হয়েছেন ট্রেনার।
তবে বিকল্প দিয়ে তো আর সব কাজ চলে না। বিশেষ করে এই সময়টায় যখন অনুশীলন চলছে নিবিড়ভাবে, নিজেদের শক্তি-দুবর্লতা নিয়ে খুঁটিনাটি কাজ হচ্ছে, তখন বোলিং কোচের অভাব বোধ না হওয়ার কারণ নেই। সেটা ফুটে উঠল আল আমিনের কণ্ঠেও।
“সত্যি বললে, বোলিং কোচ থাকলে অবশ্যই ভালো হত। আকিব জাভেদ কিছু দিন আগে আমাদের সঙ্গে কাজ করেছে। হিথ স্ট্রিকও কাজ করেছেন অনেক দিন আগে। যে বিষয়গুলো আমাদের শিখিয়েছে, যেগুলো করে আমরা সব সময় সাফল্য পেয়েছি, সেগুলো ব্যবহার করার চেষ্টা করছি।”
আল আমিন জানালেন, অনুশীলনে পেসাররা নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতার আবহ এনে উন্নতির চেষ্টা করছেন।
“আমরা সব সময় চেষ্টা করি নিজেদের মধ্যে চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে। ব্যাটসম্যানদের কে কতবার আউট করতে পারি, কে কত ভালো জায়গায় বল করতে পারি। কে ভালো করছে, কে খারাপ করছে, কারও কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা… এগুলো নিজেদের মধ্যে আলোচনা করি, কাজ করি।”
বোলিং কোচ একজন চূড়ান্ত হলেও এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নাম প্রকাশ করেনি বিসিবি।