ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সফর নিশ্চিত করে।
পিটারসেন বলেন, “এটা সেই জায়গা নয়, যেখানে আমি আগামী ছয় সপ্তাহ থাকতে চাইতাম। তরুণ ওয়ানডে দলের খুব বেশি সমস্যা না থাকতে পারে, কিন্তু বেশি বয়সীদের নিয়ে গড়া টেস্ট দলের কিছু সমস্যা থাকতে পারে।
“কিছু বয়স্ক খেলোয়াড়দের বাচ্চা আর অন্য দায়িত্ব থাকতে পারে এবং তারা ভাবতে পারে ‘কিভাবে আমি বাংলাদেশে না গিয়ে থাকতে পারি?’ তারা ভাবতে পারে এটাই বাংলাদেশ সফরে না যাওয়ার একটা সুযোগ। …আমি জানি, অনেক সাংবাদিকও বাংলাদেশে যেতে চায় না।”
ইএসপিএন ক্রিকইনফোকে পিটারসেন বলেন, “অ্যালেস্টার কুকের নিতে হওয়া অন্যতম কঠিন সিদ্ধান্ত হবে এটা। আমি কি যেতে চাইতাম? না। কিন্তু আমি মনে করি না, একজন সরে যেতে পারে। যদি একজন যায়, আপনাদের সবাইকে যেতে হবে। সফর থেকে সরে দাঁড়ানো কঠিন হতে পারে।”
মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার পর ২০০৮ সালের শেষের দিকে ভারতে ফেরা ইংল্যান্ড দলের নেতৃত্বে ছিলেন পিটারসেন। ওয়ানডে সিরিজ চলাকালে ইংল্যান্ড মূলত সফর বাতিল করেছিল। তবে দুই টেস্টের সিরিজ খেলতে ফিরে আসা উচিত বলে যারা যুক্তি দেখাচ্ছিল তাদের পুরোভাগেই ছিলেন পিটারসেন।
বর্তমানে দুই সন্তানের বাবা পিটারসেন স্বীকার করেন, এই অবস্থায় সিদ্ধান্ত নেওয়া আরও বেশি কঠিন হতো। সেই সময়ে যে সব খেলোয়াড়রা ভারতে ফিরে যেতে চাইছিল না তাদের জন্য এখন তার আরও খারাপ লাগে বলে জানান পিটারসেন।
সেই সময়ে ভারতে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণে দলের অনেক খেলোয়াড়ের সঙ্গে পরবর্তীতে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে বলে মনে করেন পিটারসেন।
“এই কারণেই আমি বলেছিলাম, সেই সময়ে ইংল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সঠিক ব্যক্তি ছিলাম না আমি। সেই সময়ে যাদের বাচ্চা ছিল তাদের অবস্থাটা আমি বুঝতে পারিনি। আমি আদৌ বুঝিনি।”