ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনার পর বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশ সফরের সবুজ সঙ্কেত দেয় ইসিবি।
শুক্রবার বিসিবি সভাপতি তার বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ইংল্যান্ড দল যখন বাংলাদেশে থাকবে সেই সময়ের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা তাদের রয়েছে। তবে তারা ঢাকায় এসে পৌঁছানোর আগের সময়টুকুও খুব গুরুত্বপূর্ণ।
“কাল কি হবে সেটা কিন্তু আমরা জানি না। ওরা এসে দেখে গেছে, সেই হিসেবে বলেছে, এখানে ক্রিকেট খেলতে কোনো সমস্যা তারা দেখছে না। আমরা যে পরিকল্পনা দিয়েছি তাতে তারা (সফর) নিরাপদ মনে করছে। পরিস্থিতি খারাপের দিকে গেলে তারা অন্য চিন্তা করতেও পারে।”
“নিরাপত্তা নিয়ে বললে, এখন কোনো দেশকেই নিরাপদ বলা যায় না। তবে যে নিরাপত্তা পরিকল্পনা আমরা তাদের দিয়েছি, এমন নিরাপত্তা তাদের কেউই দেয়নি। আমার মনে হয়, ওরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
সব সময়ই বাংলাদেশের ক্রিকেটের পাশে থাকা ইসিবিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন নাজমুল হাসান।
“আপনারা আগেও দেখেছেন, অস্ট্রেলিয়া যখন (অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে) আসতে চায়নি, ইংল্যান্ড তখন তাদের দল পাঠিয়েছে। ভারতেও একটা সিরিজ চলা অবস্থায় যখন হামলা হল তখন তারা একবারেই চলে যায়নি; একটা দল গেছে, আরেকটা দল খেলে এসেছে। ওরা কখনই সন্ত্রাসের কাছে মাথা নত করার মানুষ না।”
চলতি বছরের শুরুতে হয়ে যাওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ১৬টি দলকে নিরাপত্তা দেয়। সে তুলনায় কেবল ইংল্যান্ড দলকে নিরাপত্তা দেওয়া খুব কঠিন হবে বলে মনে করেন না বিসিবি সভাপতি।
“আমরা যে নিরাপত্তার পরিকল্পনা দিয়েছি, তা ভেদ করে কিছু করা খুব কঠিন। হঠাৎ করে যে কোনো জায়গায় হামলা হতে পারে। তবে যেখানে আগে থেকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকবে, সেখানে এমন হামলা হতে পারে না।”
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পৌছবে ইংল্যান্ড দল। এক মাসের সফরে ঢাকা ও চট্টগ্রামে তিনটি ওয়ানডে এবং দুটি টেস্ট খেলবে তারা।