টানা খেলার মধ্যে থাকা অবস্থায় চেন্নাইয়ে তাসকিন দিয়েছিলেন প্রথম পরীক্ষা। স্বল্প সময়ে সেখানে করতে হয়েছিল অনেকগুলো বল। সে সব এখন আর মাথায় আনতে চান না। এবার তিনি নিজেকে প্রস্তুত করছেন যে কোনো পরিস্থিতির জন্য।
“অল্প সময়ে বেশি ডেলিভারি, এটা বলে কোনো লাভ নেই। আমি টানা খেলার মধ্যে ছিলাম, হয়ত আমার ভেতরে ক্লান্তি ছিল। এবার নিজেকে ওভাবেই তৈরি করেছি। তারা যেভাবে পরীক্ষা নেবেন, আমি সেভাবেই যেন উতরাতে পারি।”
আগামী ৮ সেপ্টেম্বর অস্ট্রেলিয়ার ব্রিজবেনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিংয়ে ফেরার পরীক্ষা দেবেন তাসকিন। এখন ভাবনায় এখন শুধু সেই দিন।
“শোনার পর থেকে ভালো লাগছে। মেট্রিক (এসএসসি) পরীক্ষার আগে তো একটা প্রস্তুতি থাকে...যেদিন শুনবেন যে ১০ তারিখ থেকে পরীক্ষা, মানসিক একটা চাপ তো অবশ্যই কাজ করে। তবে ভালো লাগছে যে, তারিখ ঠিক হয়ে গেছে। খেতে, ঘুমাতে এখন শুধু এক চিন্তা।”
“প্রস্তুতি নিচ্ছি, তবুও পরীক্ষার আগে সবার মধ্যে একটু স্নায়ুচাপ কাজ করে। শুধু স্কিলের উপর প্রস্তুতি নিচ্ছি তা নয়, মানসিকভাবেও তৈরি হচ্ছি। সব মিলিয়ে প্রস্তুতি অনেক ভালো। আশা করছি, ভালো একটা পরীক্ষা হবে।”
“যে কোচদের তত্ত্বাবধানে ছিলাম, তারা বোলিং সম্পর্কে অনেক অভিজ্ঞ, অনেক দক্ষ। মাহবুব আলী জাকি স্যার তিন-চার মাস ধরে আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন। উনি আমাকে অনূর্ধ্ব-১৫ থেকে দেখে আসছেন। (চন্দিকা) হাথুরুসিংহেও সাহায্য করছেন।”
“ইনডোর ও আউটডোরে বেশ কিছু ক্যামেরা দিয়ে এবং বিশেষজ্ঞ কোচদের তত্ত্বাবধানে আমার পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। সব সময় কোচরা বোলিং সেশনের ভিডিও করছেন। দলের সিনিয়ার ক্রিকেটাররা মানসিকভাবে সহায়তা করছেন। সব মিলিয়ে সবার সহায়তা সঙ্গে নিয়ে ভালো পরীক্ষা দেব বলে আশা করছি।”
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার সময় তাসকিনের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠে। সে সময় ভারতের চেন্নাইয়ে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন। সেখান ব্যর্থ হওয়ায় গত মার্চ থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হয়ে আছে তার বোলিং।
নিষেধাজ্ঞা কাটাতে কতটা উন্মুখ তাসকিন, জানালেন সেটাও, “নিষিদ্ধ শব্দটি আসার পর প্রত্যেকটি দিনই একটু অন্যরকম ছিল। নিষিদ্ধ শব্দটি উঠে গেলে প্রত্যেকদিনই ঈদের দিন বলে মনে হবে।”
তাসকিনের পরীক্ষায় সঙ্গী হতে পারেন আরাফাত সানি, যিনি তার সঙ্গে একই দিনে অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন।