এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের নাটকীয় জয়

টেস্ট ক্রিকেট তার সব সৌন্দর্য্য নিয়ে হাজির হয়েছিল এজবাস্টনে। শেষ দিনের নাটকীয়তায় সেখানে জয়ী ব্যাটে-বলে নৈপুণ্যে দেখানো ইংল্যান্ড। পাকিস্তানের প্রতিরোধ ভেঙে চার টেস্টের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে অ্যালেস্টার কুকের দল।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 August 2016, 05:35 PM
Updated : 7 August 2016, 05:35 PM

প্রথম ইনিংসে শতরানের লিড নেওয়া মিসবাহ-উল-হকের দল তৃতীয় টেস্ট শেষ পর্যন্ত হেরেছে ১৪১ রানের ব্যবধানে।

রোববার সকালে কুকের ইনিংস ঘোষণায় জমে উঠে এজবাস্টন টেস্ট। সিরিজে এগিয়ে যেতে পঞ্চম ও শেষ দিন ৩৪৩ রানের লক্ষ্য পায় পাকিস্তান। অতিথিদের ১০ উইকেট নিতে ৮৪ ওভার পায় ইংল্যান্ড।

ষষ্ঠ ওভারে মোহাম্মদ হাফিজকে হারানো পাকিস্তান প্রতিরোধ গড়ে সামি আসলামের ব্যাটে। বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আজহার আলি ছাড়া আর কারোর কাছ থেকে খুব একটা সহায়তা পাননি তিনি। ৭৫ বলে ৩৮ রান করে আজহার ফিরে গেলে ভাঙে ৭৩ রানের জুটি, পাকিস্তানের বিপদে পড়ার শুরুও তখন থেকেই।

১৭ বলে চার রান করে ফিরেন অভিজ্ঞ ইউনুস খান। দলের বিপদ আরও বাড়িয়ে ২৩ বলের মধ্যে ফিরে যান মিসবাহ, আসাদ শফিক, সরফরাজ আহমেদ ও সামি। প্রথম ইনিংসের মতো এবারও রানের খাতা খুলতে পারেননি শফিক। উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান সরফরাজও ফেরেন শূন্য রানে।

১৬৭ বলে ১১টি চারে ৭০ রান করে সামি বিদায় নেওয়ার পর ম্যাচ বাঁচানোর পথটা ভীষণ কঠিন হয়ে যায় পাকিস্তানের। প্রতিরোধ গড়তে পারতেন ইয়াসির শাহ ও মোহাম্মদ আমির। তবে তারাও খুব একটা কিছু করতে পারেননি।

অপ্রত্যাশিত বাধা আসে শেষ দুই ব্যাটসম্যান সোহেল খান ও রাহাত আলির কাছ থেকে। দশম উইকেটে দুইজনে কাটিয়ে দেন ১১.১ ওভার, এর মধ্যে গড়ে উঠে ৫০ রানের জুটিও। পাকিস্তানের ম্যাচ বাঁচানোর স্বপ্ন ভাঙেন মইন আলি। ফিরতি ক্যাচ নিয়ে তিনি ফেরান চড়াও হওয়া সোহেলকে, তখনও দিনের খেলা বাকি ১৩.১ ওভার।

শেষ উইকেট জুটির দৃঢ়তায় দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হওয়ার আগে ২০১ রান করে পাকিস্তান।

ইংল্যান্ডের পাঁচ বোলার নেন দুটি করে উইকেট।

এর আগে রোববার ৫ উইকেটে ৪১৪ রান নিয়ে খেলা শুরু করে ইংল্যান্ড। এদিন ৪ ওভার খেলেই ৬ উইকেটে ৪৪৫ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে স্বাগতিকরা।

৮২ রান নিয়ে দিন শুরু করা জনি বেয়ারস্টো ফিরে যান এক রান যোগ করেই। সোহেলের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি। ৮৬ রানে অপরাজিত থাকেন মইন। ৯৬ বলে খেলা তার আক্রমণাত্মক ইনিংসটি গড়া ১০টি চার ও দুটি ছক্কায়। সঙ্গে প্রথম ইনিংসের ৬৩ আর পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে দুই উইকেট ম্যাচ সেরার পুরস্কার এনে দেয় তাকে।

আগামী বৃহস্পতিবার বার্মিংহ্যামে হবে চতুর্থ ও শেষ টেস্ট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ২৯৭

পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৪০০

ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: (৪১৪/৫) ১২৯ ওভারে ৪৪৫/৬ ডিক্লে. (কুক ৬৬, হেলস ৫৪, রুট ৬২, ভিন্স ৪২, ব্যালান্স ২৮, বেয়ারস্টো ৮৩, মইন ৮৬, ওকস ৩*; আমির ২/৭৫, সোহেল ১/১১১, রাহাত ০/৫৪, ইয়াসির ২/১৭২, আজহার ০/২২)

পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংস: ৭০.৫ ওভারে ২০১ (হাফিজ ২, সামি ৭০, আজহার ৩৮, ইউনুস ৪, মিসবাহ ১০, শফিক ০, সরফরাজ ০, ইয়াসির ৭, আমির ১৬, সোহেল ৩৬, রাহাত ১৫*; অ্যান্ডারসন ২/৩১, ব্রড ২/২৪, ওকস ২/৫৩, ফিন ২/৩৮, মইন ২/৪৯, রুট ০/৪)

ফল: ইংল্যান্ড ১৪১ রানে জয়ী

সিরিজ: ইংল্যান্ড ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মইন আলি।