দলে ফিরেই ডানহাতি এই পেসার নিয়েছেন ৫ উইকেট। অন্য দুই পেসার মোহাম্মদ আমির ও রাহাত আলি সঙ্গ দিয়েছেন দারুণ। দেশের মাটিতে নিজেদের ৫০০তম টেস্টের প্রথম দিনে ২৯৭ রানে অল আউট হয়েছে ইংল্যান্ড।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে তিনশ ছুঁইছুঁই রান খুব খারাপ কিছু নয়। তবে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলার মত বড় কিছুও নয়। প্রথম দিনেই প্রতিপক্ষকে অলআউট করে খানিকটা এগিয়ে তাই পাকিস্তান।
বুধবার এজবাস্টনে শুরুতে বোলাররা সহায়তা পাবে ভেবে বোলিং নিয়েছিলেন মিসবাহ-উল-হক। তবে অ্যালেক্স হেলস ও অ্যালেস্টার কুকের শুরুটা ছিল স্বচ্ছন্দ। তাতে বাধ সাধেন সোহেল। হেলসকে ফিরিয়ে ভাঙেন উদ্বোধনী জুটি। খানিক পরই ফিরিয়ে দেন জো রুটকে। আগের টেস্টে ২৫৪ ও অপরাজিত ৭১ করে ম্যাচ সেরা রুট এবার করেছেন মাত্র ৩।
কুক খেলছিলেন ওয়ানডের গতিতে। ইংলিশ অধিনায়ক ফেরেন রাহাত আলির ভেতরে ঢোকা এক ডেলিভারিতে (৫২ বলে ৪৫)। ইংল্যান্ড তখন ৩ উইকেটে ৭৫।
জেমস ভিন্স ও গ্যারি ব্যালান্সের ব্যাটিংয়ে অবশ্য সেই চাপটা বোঝা যায়নি। দলে জায়গা ধরে রাখতে লড়তে থাকা দুই ব্যাটসম্যান খেলছিলেন আস্থার সঙ্গে। দুজনই খেলেছেন দারুণ কিছু শট। এই জুটি ভেঙে পাকিস্তানকে আবার ম্যাচে ফেরান সোহেল। আরও একবার থিতু হয়েও আউট ভিন্স।
এরপর ব্যালান্স ও মঈন আলি টেনেছেন ইংল্যান্ডকে। দারুণ কিছু ডেলিভারির পাশাপাশি কিছু হালকা বলে রান করার সুযোগও দিয়েছেন সোহেল।
দ্বিতীয় নতুন বলে নিজের পরপর দুই ওভারে দুই উইকেট নেন আমির। এর মধ্যে ছিল ইংল্যান্ডের শেষ ভরসা মঈনের উইকেটও। দলে জায়গা বাঁচাতে লড়তে থাকা অলরাউন্ডার করেছেন ষষ্ঠ টেস্ট অর্ধশতক।
জিমি অ্যান্ডারসনকে ফিরিয়ে সোহেল পূর্ণ করেছেন কাঙ্ক্ষিত পাঁচ উইকেট। টেস্ট শুরুর আগে তার ভয়াবহ বোলিং গড় (২৪৫.০০) কমে এসেছে অনেকটাই (৬৮.২০)।
শেষ বেলায় আর ব্যাটিংয়ে নামার সময় ছিল না পাকিস্তানের। তাদের ভঙ্গুর ব্যাটিং লাইন আপের পরীক্ষা নিতে তৈরি ইংল্যান্ডের চার পেসার!
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৮৬ ওভারে ২৯৭ (কুক ৪৫, হেলস ১৭, রুট ৩, ভিন্স ৩৯, ব্যালান্স ৭০, বেয়ারস্টো ১২, মঈন ৬৩, ওকস ৯, ব্রড ১৩, ফিন ১৫*, অ্যান্ডারসন ৫; আমির ২/৫৩, সোহেল ৫/৯৬, রাহাত ২/৮৩, ইয়াসির ১/৬৪)।