‘প্লেয়ার্স বাই চয়েজ’ পদ্ধতিতে হওয়া এবারের দলবদলে ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক পরিশোধ করার কথা ছিল তিনটি ধাপে। লিগ শুরুর সময়টায় ৩০ শতাংশ, সুপার লিগের আগে ৩০ শতাংশ ও লিগ শেষ হওয়ার ৬ সপ্তাহের মধ্যে বাকি ৪০ শতাংশ।
ব্রাদার্সের ৩ জন ক্রিকেটার পেয়েছেন ৫০-৫৫ শতাংশ। বাকি সবাই মাত্র ৩০ শতাংশ। মঙ্গলবার শাহরিয়ার নাফীস, নাফিস ইকবাল, নাবিল সামাদ, সঞ্জিত সাহারা বিসিবির প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে দেখা করে হস্তক্ষেপ চেয়েছেন বোর্ডের।
ক্রিকেটারদের প্রতিনিধি হিসেবে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নিজেদের বঞ্চনার কথা জানালেন শাহরিয়ার।
“এখন পর্যন্ত আমরা দ্বিতীয় ধাপের পাওনা পাইনি, তৃতীয় ধাপের তো প্রশ্নই আসে না। আমরা ব্যাপারটা সিইওকে জানালাম। কারণ এই বছর বিসিবি এ ব্যাপারে অনেক কঠোর ছিলো। তারা আমাদের একটা কথা দিয়েছিলো যদি কোনো কারণে পেমেন্ট ঠিকমতো না হয় তবে বিসিবি পদক্ষেপ নেবে।”
“আমরা দেখেছি ঈদের আগে বিসিবি পদক্ষেপ নিয়ে দুটি ক্লাবের পেমেন্ট করে দিয়েছে। আমরা আবেদন করেছি যেন আমাদের ব্যাপারটা খুব ভালোভাবে দেখা হয়। বাংলাদেশের ৯০ ভাগ ক্রিকেটারের মূল আয়ের উৎস প্রিমিয়ার লিগ। এখানে পেমেন্ট ঠিকমতো না হলে ক্রিকেট খেলাটাই কষ্ট হয়ে যাবে।”
শাহরিয়ার জানালেন, ক্লাব কর্তারা ঈদের আগে আশ্বাস দিয়েও কথা রাখেনি। এখনও যোগাযোগ করে লাভ হচ্ছে না। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের আশা, বিসিবি ব্যপারটি গুরুত্ব দিয়ে দেখবে।
“প্লেয়ার্স বাই চয়েজ হওয়ার পরও যদি ক্লাবগুলো পেমেন্ট দিতে গড়িমসি করে তাহলে ক্রিকেট খেলে জীবিকা নির্বাহ করাটাই কষ্ট হয়ে যাবে। আমাদের বোর্ড প্রেসিডেন্ট খুব জোর দিয়ে বলেছিলেন, যদি কোনো ক্লাব পেমেন্ট দিতে গড়িমসি করে, বিসিবি সেই ক্লাবগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে। এজন্যই আমরা আশায় বুক বাঁধছি।”
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী আশ্বাস দিলেন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার।
“ব্রাদার্সের ক্রিকেটাররা আজকে এসেছিল আমাদের কাছে। ওদের পেমেন্ট নিয়ে সমস্যার কথা জানিয়েছে। আমরা কথা দিয়েছি ব্যবস্থা নেওয়ার। এর আগেও দুটি ক্লাবের সমস্যা আমরা সমাধান করেছি, কলাবাগান একাডেমি ও সিসিএস। এরপর ভিক্টোরিয়া ও আজকে ব্রাদার্সের সমস্যার কথা জানলাম। ক্লাবের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যবস্থা নেব।”