দ্বিতীয় সার্জনের কাছে মুস্তাফিজ

কাঁধের অস্ত্রোপচারের জন্য টনি কোচারের পর আরেকজন বিশেষজ্ঞ সার্জনের পরামর্শ নিতে মঙ্গলবার ল্যাংক্যাশায়ারের উইগ্যানে যাচ্ছেন মুস্তাফিজুর রহমান।

লন্ডন থেকে আবু মুসা হাসানবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 August 2016, 04:37 AM
Updated : 3 August 2016, 12:09 PM

বিসিবির নির্দেশনায় রাইটিংটন, উইগ্যান অ্যান্ড লি এনএইচএস ফাউন্ডেশনের রাইটিংটন হাসপাতালের সার্জন অধ্যাপক লেনার্ড ফাংকের কাছ থেকে মতামত নেয়ার জন্যই মুস্তাফিজ উইগ্যান যাচ্ছেন। লন্ডনে তার হোস্ট সেন্ট পিটার্স কলেজ অব লন্ডনের অধ্যক্ষ এজিএম সাব্বির তাকে উইগ্যান নিয়ে যাচ্ছেন।

সাব্বির জানান, অর্থোপেডিক সার্জারির জন্য বিশেষায়িত এই হাসপাতালে যাওয়ার জন্য মঙ্গলবার সকালে মুস্তাফিজকে নিয়ে তিনি লন্ডন থেকে ট্রেনে উইগ্যানের উদ্দ্যেশে রওনা দেবেন।

লেনার্ড ফাংক

হাসপাতালের ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে, অধ্যাপক ফাংক কাঁধ, কনুইসহ আপার লিমের সার্জারিতে বিশেষজ্ঞ। কাঁধে ক্রীড়া বিষয়ক চোটের অর্থোপেডিক সার্জারিতে তিনি পারদর্শী।

অধ্যাপক লেনার্ড ফাংক এবং আরও কয়েকজন বিশেষজ্ঞ সার্জন চ্যাশায়ার কাউন্টির অ্যালডারলি রোডের উইমস্লো হাসপাতালের দ্য আর্ম ক্লিনিকে প্রাইভেট রোগীদের দেখে থাকেন।

এর আগে টেলিফোনে আলাপকালে বিসিবির পরিচালক মিডিয়া ও কমিউনিকেশন কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস জানিয়েছিলেন, মুস্তাফিজের বয়স যদি ২৭/২৮ হতো তাহলে তারা তার কনজারভেটিভ ট্রিটমেন্টের কথাই ভাবতেন। কিন্তু মুস্তাফিজের বয়স যেহেতু মাত্র ২০ বছর তাই তারা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তার এই চোটের স্থায়ী সমাধানের পথেই যেতে চাচ্ছেন। মুস্তাফিজের এই চিকিৎসার ব্যাপারে বিসিবি বিন্দুমাত্র ঝুঁকি নেবে না। ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) সঙ্গে পরামর্শ করে বা তাদের সুপারিশ অনুযায়ী মুস্তাফিজের অস্ত্রোপচার নিয়ে বিশেষজ্ঞ সার্জনদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।

নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটসম্যান রস টেইলরের সঙ্গে মুস্তাফিজুর রহমান।

উইগ্যানে রওনা হওয়ার আগে লন্ডনের ইউস্টন স্টেশনের একটি ক্যাফেতে মুস্তাফিজ

এরই অংশ হিসেবে সাসেক্সে খেলতে গিয়ে কাঁধে চোট পাওয়া মুস্তাফিজ এর আগে যান লন্ডন ব্রিজ হাসপাতালের অধ্যাপক কোচারের কাছে। দুই দফা এমআরআই করানোর পর কোচারের পরামর্শে সিদ্ধান্ত হয় মুস্তাফিজের বাঁ কাঁধে অস্ত্রোপচার করানোর। এখন লেনার্ড ফাংকের মতামত নেয়ার জন্য মুস্তাফিজকে উইগ্যান পাঠানো হচ্ছে।

লন্ডন, ১ আগস্ট, ২০১৬

(লেখক আবু মুসা হাসান সাবেক কূটনীতিক ও সাংবাদিক)