ম্যাচে না থেকেও আছেন মুস্তাফিজ

লন্ডন থেকে দুপুরে রওয়ানা দিয়ে আমরা ব্রিটেনের অন্যতম আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হয়ে হোভের দিকে যাচ্ছি। আসলে ব্রাইটন আর হোভ হচ্ছে দুটি জমজ শহর। এই দুটি শহরকে এক নামে ‘ব্রাইটন এ্যান্ড হোভ’ নামে ডাকা হয়। একটি অভিন্ন রাস্তার ওপর দুটি শহর অবস্থিত। তবে রাস্তাটির ব্রাইটন অংশের নাম হচ্ছে ওয়েস্ট এন্ড রোড আর হোভ অংশের নাম হচ্ছে চার্চ রোড। পায়ে হেঁটে ব্রাইটনের পিয়ার থেকে হোভ যাওয়া যায় ১৫ মিনিটে। ব্রাইটনের শপিং মল থেকে হোভ টাউন হলের দূরত্ব মাত্র পাঁচ মিনিটের পায়ে হাঁটা পথ।

হোভ থেকে আবু মুসা হাসানবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 July 2016, 04:49 PM
Updated : 28 July 2016, 04:49 PM
যে কারণে আমরা বাঙালিরা একযোগে সাসেক্স শার্কসের ম্যাচ দেখার জন্য উদগ্রীব ছিলাম বা তাদের সমর্থন দিচ্ছিলাম, সেই কারন আসলে ফুরিয়ে গেছে। চোটের কারণে আমাদের মুস্তাফিজের সাসেক্স মিশনের ইতি ঘটেছে। বুধবার সকালে সাসেক্স ক্লাব তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছে যে, দুর্ভাগ্যবশত চোট পাওয়ায় বাংলাদেশের বাঁহাতি পেস বোলার মুস্তাফিজুর রহমান ন্যাটওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট ও রয়্যাল লন্ডন ওয়ান ডে কাপের গ্রুপ পর্বের বাকি ম্যাচগুলো খেলতে পারবেন না। সাসেক্স ক্লাব এই ঘোষণাটি দেয়ার সাথে সাথেই বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম সংবাদটি প্রচার করলে মুস্তাফিজ ভক্তরা আজকের ম্যাচ দেখার টিকেট কেনা থেকে বিরত থাকেন। এমনকি যারা আমার মতো অগ্রিম টিকেট কিনেছিলেন তারাও মুস্তাফিজবিহীন ম্যাচ দেখার জন্য আজ হোভ আসছেন না। আমি যে চারটি অগ্রিম টিকেট কিনেছিলাম তার একটি ছিল আমার স্নেহস্পদ ‘জনমত’ এর হেড অফ গ্রাফিক্স অপু রায়ের জন্য। অপু টেলিফোনে বললো, হাসান ভাই মুস্তাফিজ যেহেতু খেলছে না, এখন তো আর হোভ যাওয়ার দরকার নেই। আমি বললাম, আমরা যাব। মুস্তাফিজ খেলবে না জেনেও আমি, নীলু ও সত্যব্রত স্বপন গত ১৬ জুলাই লর্ডস এ গিয়েছিলাম সাসেক্স বনাম মিডলসেক্স এর টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি দেখতে। বৃষ্টির জন্য ওই দিন খেলাটি পণ্ড হয়ে গেলে মজা করে ফেইসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলাম, ‘নো মুস্তাফিজ- নো ম্যাচ’। তাই সাসেক্স বনাম গ্ল্যামরগ্যান খেলাটিও দেখতে যাব। অপু বিনয়ের সঙ্গে বলল, “হাসান ভাই, আমাকে বাদ দিন প্লিজ। মুস্তাফিজ যেহেতু খেলছে না, আমার আর খেলা দেখার মোটেও আগ্রহ নেই।”

অপুর কথা বলা শেষ হতে না হতেই চৌধুরী শামসুদ্দিন রুমী ফোন করল। রুমী আমার খুব কাছের মানুষ, ঢাকার প্রবীণ সাংবাদিক ও বিশিষ্ট সাহিত্যক সালেহ চৌধুরীর ‘ভ্রাতুষ্পুত্র’। কয়েক বছর আগে সালেহ ভাই লন্ডন বেড়াতে এসে আমাকে রুমীর সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন। সেই থেকে রুমী আমাকে চাচা বলেই সম্মোধন করে এবং খুবই শ্রদ্ধা করে। অপর একটি টিকেট বরাদ্দ ছিল রুমীর জন্য। রুমীর গাড়িতে করেই হোভ যাওয়ার সমস্ত পরিকল্পনা করেছিলাম। রুমী ফোন করে বলল, ‘চাচা, মুস্তাফিজ তো খেলছে না, আপনারা তো আর হোভ যাচ্ছেন না। আমিও তো শুধু মুস্তাফিজ খেলবে বলেই যেতে চেয়েছিলাম। এখন মুস্তাফিজ খেলবে না জেনে অহেতুক ৮০ মাইল ড্রাইভ করে দুটি কাউন্টি দলের ম্যাচ দেখতে যাওযার কোন অর্থই হয় না।” মুস্তাফিজ না খেললেও আমরা হোভে যাচ্ছি শুনে রুমী অনিচ্ছাসত্ত্বেও আমাদের সাথে যেতে রাজি হলো। বলল, চাচা, ঠিক আছে, আমি যাব। কিছুক্ষণ পরে আমরা ভাবলাম, বেচারা রূমীকে শুধু শুধু এতো দূরে নিয়ে যাওয়ার দরকার নেই, আমরা দুজন ট্রেনেই হোভ চলে যাব। ওয়েবসাইটে ট্রেনের রিটার্ন টিকেট কেনার আগে রুমীকে আমাদের সিদ্ধান্তটা জানালে করলে রুমী খানিকটা অভিমান করে বলল, “চাচা, ট্রেনে যাবেন কেন? আমিই আপনাদের নিয়ে যাব। আমি তো ভেবেছিলাম, মুস্তাফিজ খেলবে না, তাই আপনারাও আর হোভ যাবেন না। ট্রেনের টিকেট কিনবেন না প্লিজ, আমিই আপনাদেরকে নিয়ে যাব।”

গণজাগরণ মঞ্চের নেত্রী অজান্তা দেব রায় দল-বল নিয়ে ওভালে গিয়েছিল মুস্তাফিজকে সমর্থন দেয়ার জন্য। সারে ক্লাবের সমর্থক পরিবেষ্টিত অবস্থায় অজান্তারা মুস্তাফিজ-মুস্তাফিজ আর বাংলাদেশ-বাংলাদেশ বলে গলা ফাটিয়ে চিৎকার করেছে। তাদের উৎসাহ দেখে সারে ক্লাবের ইংলিশ সমর্থকরাও মুস্তাফিজ-মুস্তাফিজ আর বাংলাদেশ-বাংলাদেশ স্লোগান দিয়েছে। ওভালের ম্যাচে মুস্তাফিজ যদিও একটি দারুণ ক্যাচ ধরেছিলেন, তবে পুরো চার ওভার বল করে তিনি ছিলেন উইকেটশূন্য। তাই অজান্তাদের মতো ওভালের প্রায় হাজার খানেক বাঙালি দর্শক হতাশ হয়েই বাড়ি ফিরেছিলেন। তাই মুস্তাফিজ জাদু দেখার জন্য অজান্তারা হোভে যাওয়ার পূর্ণ প্রস্ততি নিয়েছিল। বুধবার অজান্তা বলল, “আমি সহ বেশ কয়েকজন ইতোমধ্যেই টিকেট কিনেছিলাম। কিন্তু মুস্তাফিজ খেলবে না বলে আমরা আর হোভে যাচ্ছি না।”

এদিকে ব্রাইটনের কাছে গিয়ে আমার দীর্ঘদিনের বন্ধু ইমামুজ্জামান মহিকে ফোন করলে মহিও জানালেন, তিনিসহ আরও কয়েকজনের আজকের ম্যাচ দেখার কথা ছিল। কিন্তু তাদের কেউই ম্যাচ দেখতে আসছেন না। মহি আরও বললেন, “আমরা তো ক্রিকেট নিয়ে মাথা ঘামাইনা। কিন্তু মুস্তাফিজ আসাতে সাসেক্সের সব বাঙালিরা এখন সাসেক্সের সমর্থক হয়ে গেছি। কিন্তু মুস্তাফিজ না খেললে আমরা কাজ-কর্ম ফেলে সাসেক্স ক্লাবকে সমর্থন দেয়ার জন্য স্টেডিয়ামে যেতে রাজি নই।”

কথা বলতে বলতে আমরা সাসেক্সে ক্লাবের হোম গ্রাউন্ড ‘ফার্স্ট কাউন্টি গ্রাউন্ড’ এর সামনে চলে এসেছি। খেলা সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বিকেল ৫টায় স্টেডিয়ামের ঢোকার ফটকগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। দলে দলে সাসেক্সের উৎসাহী সমর্থকরা লাইন ধরে ভেতরে ঢুকছেন। মুস্তাফিজের সুবাদে সাসেক্সের আমরা চার ‘নব্য’ সমর্থক দাঁড়িয়ে আছি স্টেডিয়ামে ঢোকার মুখে। জনমত এর বার্তা সম্পাদক মুসলেহ উদ্দিন এর সৌজন্যে নীলু মুস্তাফিজের ছবি ও বাংলাদেশ লেখা সম্বলিত দুটি চমৎকার রঙ্গিন পোস্টার নিয়ে এসেছে। মুস্তাফিজ খেলবে না তাতে কি? সাসেক্সের সমর্থকরা পোস্টারগুলো দেখে পুলকিত হচ্ছে। ম্যাচের পতাকা বহন করার দায়িত্বে থাকা দুই খুদে ক্রিকেটার জ্যাক ও স্যাম তো পোস্টার দুটো হাতে নিতে পেরে বেশ খুশি। মুস্তাফিজের জন্য শুভকামনা জানানো সাসেক্সের দুই কর্মকর্তাও পোস্টারটি হাতে নিয়ে ছবি তোলার সুযোগটা হারাতে চাইলেন না। আমরা তখন চারদিকে উৎসুকভাবে আমাদের মতো সাসেক্সের নব্য সমর্থক বঙ্গসন্তানদের খোঁজ করছি।

স্টেডিয়ামে ঢোকার আগেই অবশ্য দুই পোস্টারের একটি নীলু উপহার দিল সাসেক্স ক্লাবের প্রধান নির্বাহী জ্যাক টুমাজিকে। জ্যাক জানালেন মুস্তাফিজকে তিনি অনুরোধ করবেন এতে অটোগ্রাফ দিতে। এরপর ক্লাবের জাদুঘরে পোস্টারটি রাখা হবে।

জ্যাক জানালেন আইপিএল শুরুর আগে থেকেই মুস্তাফিজকে তারা চুক্তিবদ্ধ করেছিলেন। জানালেন মুস্তাফিজের প্রথম ম্যাচ দেখার অভিজ্ঞতা, “আমি স্ট্যান্ডে বসে এসেক্সের বিপক্ষে তাদের সমর্থকদের সঙ্গেই মুস্তাফিজের প্রথম ম্যাচ দেখেছি। একজন আমাকে বললো, কেন আপনি এই তরুণকে নিয়েছেন। মুস্তাফিজ যখন তার দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট নিল আমি ওই লোকটাকে বললাম, ‘এই জন্যই আমি তাকে দলে নিয়েছি’।”

বাঙালি সমর্থকরা আশা করছিলেন, চোট পাওয়া মুস্তাফিজ নাই খেলুক, প্যাভিলিয়নে তাকে দেখা যাবে। কিন্তু প্রধান নির্বাহী জ্যাক আর সাসেক্সের কমিউনিকেশন ও মার্কেটিং নির্বাহী অ্যাডাম ম্যাথিউস জানালেন মুস্তাফিজ স্টেডিয়ামে থাকছেন না।     

মুস্তাফিজের জাদু স্বচক্ষে দেখার জন্য বাঙালিরা তো দলে দলে সাজ-সাজ রব করে হোভে আসার প্রস্তুতি নিয়েছিল। তার খেলা দেখতে পারবে না বলে বাঙালিরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। তাই জেনে শুনে মুস্তাফিজের অনুপস্থিতিতে তারা স্টেডিয়ামে আসবে কোন দুঃখে। হতাশ হবেনই বা না কেন? তারা তো মুস্তাফিজের জাদু দেখার জন্যই উদগ্রীব ছিলেন। আমিও তো হতাশ হয়েছি। ওভালের ম্যাচে হারার পর হিসেব-নিকেশ করে বের করেছিলাম যে, হোভে ন্যাটওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট এর গ্রুপ পর্যায়ের আজকের শেষ ম্যাচটিতে গ্ল্যামরগ্যানের বিপক্ষে ভালোভাবে জিততে পারলে সাসেক্স ক্লাবের কোয়ার্টার-ফাইনালে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। আর সাসেক্স যদি কোয়ার্টার-ফাইনালে যেতে পারে তাহলে আমরা গ্যালারিতে বসে স্বচক্ষে কাটার মাষ্টার মুস্তাফিজের আরও কয়েকটি ম্যাচ দেখার সুযোগ পাব। কিন্তু মুস্তাফিজের অনুপস্থিতিতে সাসেক্সের শেষ আটে পৌঁছানো দুরূহ হয়ে পড়েছে। আর কোনোক্রমে যদি তারা কোয়ার্টার-ফাইনালে পৌঁছতেও পারে তাতেও কিছু আসে যায় না। কারন মুস্তাফিজকে ছাড়া খেলা দেখার আগ্রহ আমাদের থাকবে না।

তবে আমি কিন্তু পুরোপুরি হতাশ নই। কারন আমি তো চ্যামসফোর্ডে মুস্তাফিজের অভিষেক ম্যাচেই জাদু দেখেছি। হোম গ্রাউন্ডে হাজার হাজার সমর্থকদের উৎসাহ, চিৎকার ও করতালির মধ্যে এসেক্সের ব্যাটসম্যানরা জয়ের জন্য ২০১ রানের টার্গেট তাড়া করে যাচ্ছিল তীব্র গতিতে। কিন্তু মুস্তাফিজ জাদু শুরু হলে একের পর এক হোঁচট খেতে থাকে এসেক্সের ব্যাটসম্যানরা, চুপসে যায় তাদের সমর্থকরা। কিছুক্ষণ আগেই যারা চেচিয়ে কান ঝালাপালা করছিল, তারা যেন ঘুমিয়ে পড়ে মায়াজালে আবদ্ধ হয়ে। মাত্র ২৩ রানের বিনিময়ে চার চারটি উইকেট নিয়ে সাসেক্সের জয় নিশ্চিত করেছিলেন মুস্তাফিজ। অভিষেক ম্যাচেই তিনি বনে যান সাসেক্স ক্লাবের প্রাণভোমরা। সবাই মিলে ওভালেও গিয়েছিলাম মুস্তাফিজের দ্বিতীয় খেলা দেখার জন্য। কিন্তু মুস্তাফিজ কোনো উইকেট পেলেন না, সাসেক্সও সারে ক্লাবকে হারাতে পারেনি। মনে হয়েছিল, ১৩ জুলাই সারে ক্লাবের সদস্য টেরেসা মে ইংল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হওয়ায় সারে ক্লাবের খেলোয়াড়রা যেন বেশ চাঙ্গা।

তবে যারা এই দফা মুস্তাফিজের জাদু দেখা থেকে বঞ্চিত হলেন, তাদের বেশি দিন হতাশ থাকতে হবে না, আগামী বছরের জুন মাসেই ইংল্যান্ডে বাংলাদেশ জাতীয় দল আইসিসি আয়োজিত চ্যাম্পয়নশিপ ট্রফিতে অংশ নেবে। গত বছর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে, অর্থাৎ একের পর এক জিম্বাবুয়ে, পাকিস্তান, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বাংলাদেশ আইসিসির ওডিআই র‌্যাঙ্কিং এর নয় থেকে সাতে উঠে চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। আইসিসি ওডিআই র‌্যাংঙ্কিং এর প্রথম আটিটি দল চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফিতে অংশ নেবে। মুস্তাফিজের আবির্ভাবের ফলেই বাংলাদেশ গত বছর এই সাফল্য অর্জন করেছিল। পাকিস্তানকে ধবল ধোলাই করেছিল বাংলাদেশ। আর সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশ জিতেছিল ২-১ ব্যবধানে। ভারতকেও একই ব্যবধানে হারিয়েছিল সাকিব-মুশফিকরা।

আবু মুসা হাসান

তাই মুস্তাফিজ এই দফা আর খেলতে পারছেন না বলে আমি মোটেও হতাশ হইনি। আমিও চাই না মুস্তাফিজ বিন্দুমাত্র ঝুঁকি নিয়ে সাসেক্স ক্লাবের জন্য খেলুক। বরং আমি চাই, আজকের দ্বিতীয় এমআরআই রিপোর্ট পাওয়ার পর বিসিবির সরাসরি তত্বাবধানে পূর্নাঙ্গ চিকিৎসা শেষে বাংলাদেশের এই অমূল্য সম্পদ নিরবচ্ছিন্নভাবে দেশে বিদেশে বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য অবদান রাখুক। আগামী বছরের ১ থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত আইসিসি চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফিতে এবং আগামী ২০১৯ সালের ৩০ মে থেকে ১৫ জুলাই ইংল্যান্ডে হতে যাওয়া বিশ্বকাপে মুস্তাফিজ জাদুর বলে বাংলাদেশ দুটি টুর্নামেন্টেই সম্মানজনক অবস্থানে থাকবে বলে আশা করতে পারি। শুধু তাই নয়, ক্রিকেট বিশ্বকে চমক লাগানো ২০ বছরের এই বিস্ময় বালক মুস্তাফিজ আরও অন্তত ১০ বছর বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য অবদান রেখে বিশ্ব ক্রিকেটে আমাদের মুখ উজ্জ্বল রাখতে পারবে বলে আশা করছি।

হোভ, ২৮ জুলাই, ২০১৬

(লেখক আবু মুসা হাসান সাবেক কূটনীতিক ও সাংবাদিক)