শনিবার চার দিনেই ইনিংস ও ৯২ রানে অ্যান্টিগা টেস্ট জেতে ভারত। এশিয়ার বাইরে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয়ে চার ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেছে তারা।
স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে হয়ে যাওয়া টেস্টে নিজের প্রথম দ্বিশতক পাওয়া কোহলি ম্যাচ শেষে বলেন, “আমরা এখন এমন পর্যায়ে নেই, যেখানে আমাদের উন্নতি করতে হবে। আমাদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যথেষ্ট তৈরি থাকতে হবে যেন, টেস্ট ম্যাচে দাপট দেখাতে পারি এবং গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত ও সেশনগুলো জিততে পারি। এভাবেই আমরা আরও ভালো দলে পরিণত হতে পারি।”
“আপনি যদি ভাবেন, আমরা প্রতিটি সিরিজে শিখতে থাকব, প্রতিটি ম্যাচে শিখতে থাকব, তাহলে আমাদের মধ্যে কঠিন পরিস্থিতিতে ম্যাচ জেতার ক্ষুধা আর মানসিকতা কখনও গড়ে উঠবে না।”
ঘরের মাঠে কোহলির নেতৃত্বে শ্রীলঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়েছে ভারত। তবে এশিয়ার বাইরে ভারতের টেস্ট রেকর্ড এখনও বিবর্ণ। ২০১৩ সালের শেষ দিক থেকে অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইংল্যান্ড সফরে টেস্ট সিরিজ হেরেছে তারা। এর পরিবর্তন দেখতে চান ভারতের কোচ অনিল কুম্বলে।
২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরের মাঝপথে টেস্ট ক্রিকেট থেকে মহেন্দ্র সিং ধোনি সরে দাঁড়ালে এই সংস্করণে নেতৃত্বে আসেন কোহলি। তার দল এই মুহূর্তে আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে কেবল অস্ট্রেলিয়ার পেছনে রয়েছে। টেস্ট ক্রিকেটে ধারাবাহিকতার সঙ্গে জয় কোহলির লক্ষ্য।
“যদি আমাদের ৪-০ ব্যবধানে জেতার সুযোগ থাকে, তাহলে কেন নয়। আমাদের আত্মতুষ্ট হওয়ার কিছু নেই। যদি আমরা ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাই, তাহলে এমন নয় যে, আমরা শেষ দুই টেস্ট ড্রয়ের জন্য খেলব।”
কোহলি মনে করেন, টেস্ট জেতা শিখতে পারলে, বিশ্বের যে কোনো জায়গায় কিভাবে টেস্ট ম্যাচ জেতা যায় সেটাও শিখতে পারবেন তারা।