রোববার ১ উইকেটে ২১ রান নিয়ে খেলা শুরু করা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস পরাজয় এড়াতে প্রয়োজন ছিল আরও ৩০২ রান। ততদূর যেতে পারেনি দলটি, অলআউট হয়ে যায় ২৩১ রানেই।
কঠিন লক্ষে খেলতে নামা স্বাগতিকরা শুরুতেই হারায় অন্যতম ব্যাটিং ভরসা ড্যারেন ব্রাভোকে। উমেশ যাদবের করা দিনের পঞ্চম বলে অজিঙ্কা রাহানেকে ক্যাচ দেন তিনি। টেস্টে খুব বাজে সময় কাটানো মারলন স্যামুয়েলসের সঙ্গে প্রতিরোধ গড়েন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান রাজেন্দ্র চন্দ্রিকা। এর মাঝেই হানা দেয় বৃষ্টি, আগেভাগেই লাঞ্চে যায় দুই দল।
প্রথম ইনিংসে ১৭ ওভার বলে করে উইকেটশূন্য থাকা অশ্বিন এ দিন দ্বিতীয় সেশনে স্বাগতিকদের চেপে ধরেন। চার ওভারের মধ্যে তিন ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে ইনিংস ব্যবধানে জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেন।
১০৮ বলে ৩১ রান করা চন্দ্রিকা ফিরে যান ঋদ্ধিমান সাহার গ্লাভসবন্দি হয়ে। প্রথম ইনিংসের মতো আবারও রানের খাতা খোলার আগেই প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন জার্মেইন ব্ল্যাকউড। রানে ফেরার ইঙ্গিত দেওয়া স্যামুয়েলসও শিকার অফ স্পিনার অম্বিনের অসাধারণ এক বলে।
প্রথম ইনিংসে প্রতিরোধ গড়া রোস্টন চেইজ, শেন ডরিচ পারেননি এবার। দুই অঙ্কে পৌঁছানোর আগেই সাজ ঘরের পথ ধরেন দুজনে। অভিষিক্ত চেইজকে বিদায় করে নিজের চতুর্থ উইকেট নেন অশ্বিন। অমিত মিশ্রর বলে আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে এলবিডব্লিউ হন উইকেটরক্ষক ডরিচ।
হোল্ডারকে বোল্ড করে এশিয়ার বাইরে নিজের প্রথম পাঁচ উইকেট নেন অশ্বিন। এ নিয়ে দ্বিতীয়বার টেস্টে একই ম্যাচে শতক ও পাঁচ উইকেটের কৃতিত্ব দেখালেন তিনি। এর আগে ২০১১ সালে মুম্বাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই এই অলরাউন্ড নৈপুণ্য দেখিয়েছিলেন তিনি।
১৩২ রানে প্রথম আট ব্যাটসম্যানকে হারানো ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রতিরোধ গড়ে কার্লোস ব্রেথওয়েইট ও দেবেন্দ্র বিশুর ৯৫ রানের জুটিতে। তবে তারা পরাজয়ের ব্যবধানই কমিয়েছেন কেবল। চা –বিরতির পর চার বলের মধ্যে স্বাগতিকদের দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে দেন অশ্বিন।
ক্যারিয়ার সেরা ৪৫ রান করে চেতেশ্বর পুজারাকে ক্যাচ দেন বিশু। একাদশ ব্যাটসম্যান শ্যানন গ্যাব্রিয়েলকে বোল্ড করেন অশ্বিন। ৮৩ রানে ৭ উইকেট নিয়ে তিনিই দলের সেরা বোলার। ৩৩ টেস্টে এনিয়ে ১৭ বার ইনিংসে ৫ উইকেট নিলেন তিনি।
৫১ রানে অপরাজিত থাকেন কার্লোস ব্রেথওয়েইট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত প্রথম ইনিংস: ৫৬৬/৮ (ডিক্লে.)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস: ২৪৩।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংস: ৭৮ ওভারে ২৩১ (ক্রেইগ ব্রেথওয়েইট ২, চন্দ্রিকা ৩১, ব্রাভো ১০, স্যামুয়েলস ৫০, ব্ল্যাকউড ০, চেইজ ৮, ডরিচ ৯, হোল্ডার ১৬, কার্লোস ব্রেথওয়েইট ৫১*, বিশু ৪৫, গ্যাব্রিয়েল ৪; শর্মা ১১-২-২৭-১, শামি ১০-৩-২৬-০, যাদব ১৩-৪-৩৪-১, অশ্বিন ২৫-৮-৮৩-৭, মিশ্র ১৯-৩-৬১-১)
ফল: ভারত ইনিংস ও ৯২ রানে জয়ী
ম্যাচ সেরা: রবিচন্দ্রন অশ্বিন