ইংলিশ অধিনায়কের সিদ্ধান্তে ওঠা প্রশ্নগুলি বাড়িয়ে দিল বৃষ্টি। ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামার পরপরই বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ ঘণ্টা খানেক। পরে আরেক দফা বৃষ্টি। বৃষ্টির ছোবলে ইংল্যান্ড খেলতে পারল ২১ ওভার। তাতে তুলেছে ১ উইকেটে ৯৮। প্রথম ইনিংসে ৩৯১ রানের লিড মিলিয়ে কুকের দল এগিয়ে ৪৮৯ রানে।
প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের বিশাল সংগ্রহের জবাবে আগের দিনই কাটা পড়েছিল পাকিস্তানের টপ অর্ডার। তৃতীয় দিনে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি মেরুদণ্ডও। ওপেনার শান মাসুদের বিদায়ের পর লড়েছেন কেবল মিসবাহ-উল-হক। লেজের দিকে অধিনায়ককে সঙ্গ দিয়েছেন ওয়াহাব রিয়াজ।
১১৯ রানে পাকিস্তান হারিয়েছিল ৮ উইকেট। নবম উইকেটে ওয়াহাবকে নিয়ে মিসবাহ গড়েন ৬০ রানের জুটি। আগের টেস্টে দারুণ এক সেঞ্চুরি করা পাকিস্তান অধিনায়কের ব্যাট থেকে এবার এসেছে দলের একমাত্র অর্ধশতক। তবে ফিফটির পরপরই ক্যাচ দিয়েছেন মঈন আলিকে সুইপ করতে গিয়ে।
পরিকল্পনায় ভজকট পাকায় বৃষ্টি। নিজের সিদ্ধান্ত প্রমাণের দায় কুকের, ব্যাট হাতেও তিনি ছিলেন অগ্রণী। রান তুলেছেন ওয়ানডের গতিতে, ৫৩ বলে অপরাজিত ৪৯ রানে। প্রথম ইনিংসের মতো অ্যালেক্স হেলসকে ফিরিয়েছেন আমির। তবে ইংল্যান্ড শক্ত অবস্থানেই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৫৮৯/৮ (ডিক্লে.)
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: (দ্বিতীয় দিন শেষে ৫৭/৪) ৬৩.৪ ওভারে ১৯৮ (হাফিজ ১৮, মাসুদ ৩৯, আজহার ১, ইউনুস ১, রাহাত ৪, মিসবাহ ৫২, শফিক ৪, সরফরাজ ২৬, ইয়াসির ১, ওয়াহাব ৩৯, আমির ৯*; অ্যান্ডারসন ১/২৭, ব্রড ১/২০, মঈন ২/৪৩, ওকস ৪/৬৭, স্টোকস ২/৩৯)।
ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: ২১ ওভারে ৯৮/১ (কুক ৪৯*, হেলস ২৪, রুট ১৯*; আমির ১/৩৬, রাহাত ০/২৬, ইয়াসির ০/৩৪)।