ইংল্যান্ড বলেই আশাবাদী মাশরাফি

সকাল সোয়া ৭টার দিকে সবার আগে স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে ঢুকলেন লিটন কুমার দাস। খানিক পর এনামুল হক। একটু পর একটি স্কুটিতে চেপে এলেন আরাফাত সানি। মজা করে পেছনে চাপাচাপি করে বসলেন মোসাদ্দেক হোসেন ও জুবায়ের হোসেন। আস্তে আস্তে এলেন বাকিরাও। চলল করমর্দন, কোলাকুলি, কুশলাদি বিনিময়। শুরু হলো ইংল্যান্ড সিরিজের জন্য বাংলাদেশের প্রাথমিক দলের কন্ডিশনিং ক্যাম্প।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 July 2016, 01:50 PM
Updated : 20 July 2016, 01:57 PM

প্রথম ধাপে ছিল ট্রেনার ইফতিখারুল ইসলামের ব্রিফিং। এরপর জিমনেসিয়ামে নানা শারীরিক পরীক্ষা ও কসরত। মজা, হাসি, আনন্দে ক্রিকেটাররা উপভোগ করলেন সব কিছুই। কিন্তু মনের কোণে একটা দুর্ভাবনা না থেকে পারেই না। যে সিরিজের জন্য প্রস্তুতি ক্যাম্প, সেই সিরিজ হবে তো? ইংল্যান্ড কি আসবে!

মাশরাফি বিন মুর্তজার বিশ্বাস, ইংল্যান্ড আসবেই। ক্যাম্পের প্রথম দিনে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক জানালেন, অতীত অভিজ্ঞতাই ইংল্যান্ডকে নিয়ে ভরসা দিচ্ছে তাকে।

“টেকনিক্যালি ভেতরে কী আলোচনা হচ্ছে, তা আমরা জানি না। বিসিবি ব্যাপারটা নিয়ে কাজ করছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে আশা করি ট্যুরটা হবে। বাংলাদেশের সমর্থকরা অনেক দিন ধরেই খেলা দেখার জন্য অপেক্ষা করছে। বাংলাদেশের সবাই খেলাটা খুব পছন্দ করে।”

“ইংল্যান্ড সব সময় বাংলাদেশকে সাহায্য করেছে। তারা অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে এসেছে, তখনও নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিলো। আগেও নানা সময়ে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। আশা করছি আর ব্যক্তিগতভাবে মনে করছি, তারা আসবে।”

পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আসার কথা ইংল্যান্ড দলের। তবে গুলশানে সন্ত্রাসী হামলার পরপরই সফর নিয়ে দুর্ভাবনার কথা জানায় ইসিবি। পরে ইংল্যান্ড ওয়ানডে অধিনায়ক ওয়েন মর্গ্যানও জানিয়েছেন উদ্বেগ। গত বছর অস্ট্রেলিয়ার সফর বাতিলের পর এখন ইংল্যান্ডের সফরে আসা নিয়েও জমছে শঙ্কার মেঘ।

বাংলাদেশ সফরে আসতে ইসিবি ও ইংল্যান্ড দলের প্রতি একটা বার্তাও দিয়েছেন মাশরাফি।

“বাংলাদেশের মানুষ ক্রিকেট পছন্দ করে। সব জায়গায় ক্রিকেট নিয়ে আলোচনা হয়। বাংলাদেশের মানুষ জানে কিভাবে ক্রিকেটারদের সম্মান করতে হয়। ক্রিকেটারদের, অন্য দেশ থেকে যারা আসে, তাদেরকে সম্মান দেয়া হয়। আমার মনে হয় না কোনো সমস্যা হবে। ইংল্যান্ডকে আগেও যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। এবারও দেওয়া হবে। আশা করি, ওরা আসবে; একটা ভালো সিরিজ হবে।”

বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আগামী মাসেই পরিদর্শনে আসতে পারে ইসিবির নিরাপত্তা দল। তবে ভ্রমণ, অনুশীলন সুবিধা, অন্যান্য লজিস্টিক্যাল ব্যাপারসহ সিরিজ আয়োজনের নানা ব্যাপারে বিসিবির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছে ইসিবি।