ঢাকা লিগেও প্রশ্নবিদ্ধ সানি-সঞ্জিতের অ্যাকশন

বোলিং অ্যাকশন নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করার জন্য ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শুরুর দিকে খেলেননি আরাফাত সানি। শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের হয়ে খেলেছেন ১১ ম্যাচের মাত্র চারটিতে। এর মধ্যেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে তার বোলিং অ্যাকশন।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 June 2016, 03:08 PM
Updated : 30 June 2016, 01:28 PM

বছরের শুরুর দিকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল সঞ্জিত সাহার বোলিং অ্যাকশন। তার পর থেকে অ্যাকশন শোধরাতে কাজ করছিলেন তিনি। কিন্তু ঢাকা লিগে আবার প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে এই তরুণ অফ স্পিনারের অ্যাকশন।

সদ্য সমাপ্ত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে প্রশ্নবিদ্ধ বোলারদের নাম মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটি। কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস ক’দিন আগে বলেছিলেন, অন্তত ১৩-১৪ জন বোলার প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। মঙ্গলবার কমিটির সভা শেষে জানালেন, ১১ জন বোলার প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন মোট ১৮ বার।

সদ্য গঠিত অ্যাকশন রিভিউ কমিটির প্রথম সভা শেষে মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জালাল ইউনুস জানালেন, ১১ বোলারের মধ্যে সানিকে নিয়ে কাজ চালিয়ে যাবে জাতীয় দলের ম্যানেজমেন্ট। বাকি ১০ বোলারকে নিয়ে কাজ করবেন তারা।

“কাজটা অনেক জটিল। রিপোর্টেড বোলার ১১ জন। তার মধ্যে ১০ জন নিয়ে আমরা কাজ করাবো। ওদের বোলিং অ্যাকশন শোধরানোর কাজ শুরু হবে জুলাই মাসের ২০ তারিখে। প্রতি দিন তিন জন করে বোলার নিয়ে তাদের আমরা পর্যবেক্ষন করবো। তাতে বেরিয়ে আসবে আসলেই কাদের অ্যাকশন বৈধ, কারা অবৈধ।”

“যাদের অ্যাকশনে সমস্যা দেখব, তাদের ত্রুটি সংশোধনের কাজ করবেন বিসিবির কিছু কোচ। আমাদের কমিটির মধ্যে স্পিন ও পেস বিশেষজ্ঞ আছেন, তারা ব্যপারটি মনিটর করবেন। অ্যাকশন শোধরানোর পর তাদের সবুজ সংকেত দেওয়া হবে আগামীতে খেলার জন্য। এটাই প্রথম স্টেজ।”

অ্যাকশন শুধরে ফেরা বোলারদেরও কড়া নজরে রাখা হবে, জানালেন কমিটি প্রধান।

“আমরা চাই না, একজন অবৈধ বোলার দীর্ঘদিন ধরে খেলা চালিয়ে যাক। সেই সুযোগ আমরা ক্রিকেটারদের দিব না। প্রথম রিপোর্টেড হওয়ার পর আমরা যাদের নিয়ে কাজ করবো, তাদের অ্যাকশন যদি শুধরে যায় তাহলে ১২০ দিন তারা খেলার সুযোগ পাবে। এর মধ্যে যদি আবার রিপোর্টেড হয়, পর্যালোচনার জন্য আমাদের কাছে আসতে হবে। তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিব, আবার শুধরানোর পর কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কিংবা কোন শাস্তির বিধান থাকবে কিনা।”

বিসিবির এই পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির প্রধান জানালেন, এই কাজের জন্য প্রাথমিকভাবে প্রযুক্তির সহায়তা যতটা দরকার, তার ব্যবস্থার চেষ্টা করা হচ্ছে।

“আইসিসির যে কোড মেনে চলতে হবে। এটা নির্ণয়ের জন্য কিছু সরঞ্জাম আমাদের কিনতে হবে। কিছু ক্যামেরা লাগবে। কিছু সলিউশান আছে, যাকে টুডি সলিউশান বলে। ক্যামেরাগুলো আমরা ২০ তারিখের মধ্যেই জোগাড় করে ফেলব।”

“যদি আমরা মনে করি আমাদের কাজ ব্যাপক, আমাদের আপডেট হতে হবে। টুডি থেকে থ্রিডি নিয়ে নেব। এছাড়া প্রয়োজন পড়লে আমরা আরও অভিজ্ঞ লোক নিয়োগ দিব। আমরা চেন্নাইতে কথা বলেছি, কার্ডিফেও কথা বলেছি। একটা মিনি ল্যাব করারও চিন্তা ভাবনা আছে। যদিও এটা হচ্ছে দ্বিতীয় পর্যায়ে গিয়ে।” 

সানি ও সঞ্জিত ছাড়া প্রশ্নবিদ্ধ বোলাররা হলেন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের অফ স্পিনার মুস্তাফিজুর রহমান, বাঁহাতি স্পিনার মইনুল ইসলাম, আবাহনীর বাঁহাতি স্পিনার অমিত কুমার নয়ন, প্রাইম দোলেশ্বরের বাঁহাতি স্পিনার রেজাউল করিব রাজিব, কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের অফ স্পিনার শরিফুল্লাহ, লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের অফ স্পিনার আসিফ আহমেদ রাতুল, মোহামেডানের বাঁহাতি স্পিনার নাঈম ইসলাম জুনিয়র, ফয়সাল হোসেন ডিকেন্স ও সিসিএসের ডানহাতি পেসার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন।