পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে ইংল্যান্ড। দুই দলের প্রথম ওয়ানডে হয়েছিল টাই। আগামী বুধবার দ্য ওভালে হবে চতুর্থ ম্যাচ।
রোববার ব্রিস্টলে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ২৪৮ রান করে শ্রীলঙ্কা। জবাবে ৪ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১৬ রান করে ইংল্যান্ড। এরপর বৃষ্টি নামলে আর খেলা সম্ভব হয়নি।
ব্রিস্টলে এর আগের ওয়ানডেতেও ফল হয়নি। ২০১৪ সালে ভারতের বিপক্ষে স্বাগতিকদের সেই ম্যাচে কোনো বলই হতে পারেনি।
দ্বিতীয় ওয়ানডের মতো ১০ উইকেটে ব্রিবতকর হারের পুনরাবৃত্তি যে হচ্ছে না তৃতীয় বলেই নিশ্চিত করে ফেলেন সুরঙ্গা লাকমল। দিনেশ চান্দিমালকে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শতক করা অ্যালেক্স হেলস।
কুশল মেন্ডিসের অর্ধশতকের পরও ৮৮ রানে প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। ৬৬ বলে ৫৩ রান করে ফেরেন প্রথম ওভারেই ক্রিজে আসা এই ব্যাটসম্যান।
ওয়ানডে ক্রিকেটে এক ইনিংসে কোনো শতরানের জুটি ছাড়া সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েছেন এই দুজনে। এরকম আগের রেকর্ডটি ছিল জিম্বাবুয়ের অ্যালেস্টার ক্যাম্পবেল ও গাই হুইটালের অধিকারে; ১ হাজার ২৪৯ রান করেছিলেন তারা।
৭৭ বলে ৬২ রান করে চান্দিমালের বিদায়ে ভাঙে শ্রীলঙ্কার প্রতিরোধ। অর্ধশতকে পৌঁছে ফিরে যান ম্যাথিউসও (৫৬)।
আগের দুই ম্যাচের মতো এবারও শেষের দিকে দ্রুত রান তুলতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। শেষ ১০ ওভারে প্রথম ওয়ানডেতে ৬১, পরেরটিতে ৬৬ রান যোগ করা অতিথিরা এবার সংগ্রহ করে ৬২ রান।
ইংল্যান্ডের ক্রিস ওকস ও লিয়াম প্লানকেট তিনটি করে উইকেট নেন। অভিষেকের ১০ বছর পর ৩৭তম ওয়ানডেতে এসে পঞ্চাশতম উইকেটের দেখা পান প্লানকেট।
অ্যালেক স্টুয়ার্টের পর ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় উইকেটরক্ষক হিসেবে একশ’ ডিসমিসাল করেন জস বাটলার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা: ৫০ ওভারে ২৪৮/৯ (পেরেরা ৯, গুনাথিলাকা ১, মেন্ডিস ৫৩, চান্দিমাল ৬২, ম্যাথিউস ৫৬, প্রসন্ন ২, থারাঙ্গা ৪০, শানাকা ২, মাহরুফ ৯, লাকমল ৩*, প্রদিপ ২*; ওকস ৩/৩৪, প্লানকেট ৩/৪৬, জর্ডান ১/৪৯, উইলি ১/৫৫)
ইংল্যান্ড: ৪ ওভারে ১/১৬ (রয় ৫*, হেলস ০, রুট ১১*; লাকমল ১/৮, ম্যাথিউস ০/৮)
ফল: ম্যাচ পরিত্যক্ত