লিগের প্রথম দিনেই প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল ৪ বোলারের অ্যাকশন। পরের সময়টায় সংখ্যাটা বেড়েছে আরও। শনিবার বিসিবিতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জালাল ইউনুস জানালেন, শিগগিরই কাজ শুরু করবে তাদের কমিটি।
“মঙ্গলবার সভায় বসে ঠিক করব আমরা কোন পদ্ধতিতে কাজ করব। অন্তত ১৩-১৪ জন বোলার এবারের লিগে রিপোর্টেড হয়েছে। ঈদের পর ওদের নিয়ে আমরা কাজ শুরু করব। ওদের বোলিং অ্যাকশন দেখার জন্য নেটে ডাকব।”
সাবেক পেসার ও বিসিবির এই পরিচালক জানালেন, প্রয়োজনে দেশের বাইরে থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হতে পারে।
“বোলিং অ্যাকশন রিভিউয়ে সত্যি বলতে আমরা ততটা অভিজ্ঞ নই। প্রয়োজনে বিদেশি বিশেষজ্ঞ আনব আমরা। আমাদের সময় প্রয়োজন, কারণ এই কাজে প্রযুক্তির সহায়তাও জরুরি।”
সীমিত আকারে একটি ল্যাব প্রতিষ্ঠায় বিসিবির পরিকল্পনার কথাও জানালেন জালাল ইউনুস।
“আইসিসি অনুমোদিত ল্যাবের সুবিধাসম্বলিত ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। আমরা সীমিত আকারে স্বল্প খরচে শুরু করতে চাই। টেকনিক্যাল সহায়তার জন্য আইসিসিকে আমরা অনুরোধ জানিয়েছি। কার্ডিফ থেকে সাময়িকভাবে একজন বিশেষজ্ঞ আনার ভাবনাও আছে আমাদের।”
আগামী মৌসুম থেকে প্রযুক্তির সহায়তা নিয়েই সন্দেহজনক অ্যাকশনের বোলারদের সনাক্ত করার আশা রিভিউ কমিটি প্রধানের।
“আগামী মৌসুম থেকে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে যতটা সম্ভব ম্যাচে চারটি করে ক্যামেরা থাকবে আমাদের। প্রযুক্তি দিয়েই বোলারদের অ্যাকশন যাচাই করব আমরা, খালি চোখে নয়।”
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিংয়ে নিষিদ্ধ দুই বোলার তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানি এই কমিটির আওতায় থাকছেন না, নিশ্চিত করেছেন জালাল ইউনুস।
“সানি ও তাসকিনের সঙ্গে কাজ করছে জাতীয় দলের ম্যানেজমেন্ট। ওদের নিয়ে কাজ চলছে। প্রিমিয়ার লিগে ওদের বোলিং অ্যাকশনের ভিডিও শিগগিরই যাচাই করে দেখা হবে। সন্তোষজনক মনে হলে এবং পুরো নিশ্চিত হলে ওদের বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। আশা করা যায় সেটি আমাদের পরের আন্তর্জাতিক সিরিজের আগেই হয়ে যাবে।”
জালাল ইউনুসের নেতৃত্বে বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটিতে আছেন আরও তিন সাবেক ক্রিকেটার ওমর খালেদ রুমি, দিপু রায় চৌধুরী ও গোলাম ফারুক সুরু।