দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২৫৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ইংল্যান্ডের জয় ১০ উইকেটের। ওয়ানডেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে এটাই সর্বোচ্চ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জয়।
৫ ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে ইংল্যান্ড। আগামী রোববার ব্রিস্টলে হবে তৃতীয় ওয়ানডে।
২০১১ বিশ্বকাপে কলম্বোয় ইংল্যান্ডের ২৩০ রানের লক্ষ্য কোনো উইকেট না হারিয়ে পেরিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। গত বছর পর্যন্ত এটাই ছিল রেকর্ড। গত অগাস্টে জিম্বাবুয়ের ২৩৬ রানের লক্ষ্যে ১০ উইকেট হাতে নিয়ে পৌঁছে যায় নিউ জিল্যান্ড।
এবার নিউ জিল্যান্ডের রেকর্ড নিজেদের করে নিয়েছে ইংল্যান্ড। দলকে রেকর্ড জয় এনে দিতে শতক করেছেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হেলস ও রয়।
শুক্রবার এজবাস্টনে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ২৫৪ রান করে শ্রীলঙ্কা। জবাবে কোনো উইকেট না হারানো ইংল্যান্ড ৩৪ ওভার ১ বলে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
এর আগে কোনো উইকেট না হারিয়ে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে। ২০০৫ সালে কেনসিংটন ওভালে ১৯১ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছিল তারা।
সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে শেষ বলে ছক্কায় টাই করেছিল ইংল্যান্ড। এই ম্যাচে তেমন রোমাঞ্চের কোনো সুযোগ রাখেননি হেলস-রয়। তাদের রেকর্ড জুটিতে ৯৫ বল হাতে রেখেই জয় পায় ইংল্যান্ড।
অবিচ্ছন্ন ২৫৬ রানের জুটিতে হেলসের অবদান ১৩৩ রান। ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক পাওয়া এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের ১১০ বলের ইনিংসটি ১০টি চার ও ৬টি ছক্কা সমৃদ্ধ।
কম যাননি বাঁহাতি ব্যাটসম্যান রয়ও। ৯৫ বলে ৭টি চার আর ৪টি ছক্কায় ১১২ রানে অপরাজিত থাকেন এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। এটি তার দ্বিতীয় ওয়ানডে শতক। চমৎকার ফিল্ডিং আর দারুণ ব্যাটিং মিলিয়ে তিনিই জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
ইংল্যান্ডের পক্ষে যে কোনো উইকেটেই সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েন হেলস-রয়। ২০১০ সালে দেশটির হয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২৫০ রানের জুটিতে রেকর্ড গড়েছিলেন অ্যান্ড্রু স্ট্রাউস ও জোনাথন ট্রট।
আর উদ্বোধনী জুটিতে ইংলান্ডের সর্বোচ্চ ছিল ২০০ রান। ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই রান করেছিলেন মার্কোস ট্রেসকোথিক ও বিক্রম সোলাঙ্কি।
এর আগে ৭৭ রানে তিন উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের সঙ্গে দিনেশ চান্দিমালের ৮২ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে অতিথিরা।
ম্যাথিউসকে ফিরিয়ে আদিল রশিদ শ্রীলঙ্কার প্রতিরোধ ভাঙার পর দ্রুত ফিরে যান সিকুগে প্রসন্ন, চান্দিমাল (৫২) ও ফারভিজ মাহরুফ। উদ্বোধনী কুশল পেরেরার মতো চান্দিমালও বিদায় নেন রান আউট হয়ে।
১৯১ রানে সাত উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কা আড়াইশ’ ছাড়ায় উপুল থারাঙ্গার দৃঢ়তায়। ৪৯ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় অপরাজিত ৫৩ রান করেন তিনি। তবে এই রান লড়াইয়ের জন্য মোটেও যথেষ্ট ছিল না।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা: ৫০ ওভারে ২৫৪/৭ (পেরেরা ৩৭, গুনাথিলাকা ২২, মেন্ডিস ০, চান্দিমাল ৫২, ম্যাথিউস ৪৪, প্রসন্ন ২, থারাঙ্গা ৫৩*, মাহরুফ ২, রনদিভ ২৬*; রশিদ ২/৩৪, প্লানকেট ২/৪৯, উইলি ১/৬৫)
ইংল্যান্ড: ৩৪.১ ওভারে ২৫৬/০ (রয় ১১২*, হেলস ১৩৩*; গুনাথিলাকা ০/১৪, লাকমল ০/২১, প্রদিপ ০/৩১)
ফল: ইংল্যান্ড ১০ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: জেসন রয়।