ভারতের কোচ অনিল কুম্বলে

এক বছরের জন্য ভারতের প্রধান কোচ হিসেবে কিংবদন্তি লেগ স্পিনার অনিল কুম্বলেকে নিয়োগ দিয়েছে দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। চার টেস্টের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর দিয়ে কাজ শুরু হবে সাবেক অধিনায়কের।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 June 2016, 02:42 PM
Updated : 23 June 2016, 03:11 PM

বৃহস্পতিবার ধর্মশালায় বিসিসিআই প্রধান অনুরাগ ঠাকুর কুম্বলেকে কোচ করার ঘোষণা দিয়ে জানান, শিগগির ব্যাটিং, বোলিং ও সহকারী কোচ নিয়োগ হবে।

২০১৫ বিশ্বকাপের ডানকান ফ্লেচার সরে যাওয়ার পর থেকে কোনো প্রধান কোচ ছিল না ভারত দলে। ভারত দলের পরিচালক হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত দলকে দেখার কাজটা করেন রবি শাস্ত্রি। সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে সফরে ভারত দলে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে কাজ করেছেন সাবেক অলরাউন্ডার সঞ্জয় বাঙ্গার।

চলতি মাসের শুরুতে কোচের জন্য বিজ্ঞাপন দেয় বিসিসিআই। আবেদন করা ৫৭ জনের মধ্যে ২১ জনের সংক্ষিপ্ত তালিকা পাঠানো হয় একটি উপদেষ্টা কমিটিতে।

সাবেক বিসিবি সম্পাদক সঞ্জয় জাগদালের নেতৃত্বাধীন কমিটিতে ছিলেন তিন সাবেক ক্রিকেটার সৌরভ গাঙুলি, শচিন টেন্ডুলকার ও ভিভিএস লক্ষণ। গত মঙ্গলবার কলকাতায় সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকার নেন তারা।

২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে কপিল দেব পদত্যাগ করার পর ৪৫ বছর বয়সী কুম্বলেই হলেন ভারতের প্রথম স্থানীয় পূর্ণকালীন কোচ। তবে ঠাকুর ব্যাপারটি এভাবে দেখছেন না।

“এটা ভারতীয় বা বিদেশি কোচের ব্যাপার নয়। ভারতের ক্রিকেটের জন্য কে সেরা এটাই হল ব্যাপার। ভারতের সেরাটা প্রাপ্য, আমি মনে করি আমরা কুম্বলের মধ্যে তা পেয়েছি।”

অভিজ্ঞতার দিক থেকে ঘাটতি রয়েছে কুম্বলের। তিনি কোনো দলকে কোচিং করাননি। আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মেন্টর হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।

বিসিসিআই সেক্রটারি অজয় শিরকে মনে করেন, এক বছরের জন্য দায়িত্ব নেওয়াটা কুম্বলের কাজে মানিয়ে নেওয়া সহজতর করবে। অন্য দিকে বোর্ডের সামনেও সুযোগ থাকবে তাদের বিকল্পগুলো পুনর্মূল্যায়নের।

১৮ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারের শেষ বছরে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন কুম্বলে। তার নেতৃত্বে ১৪ ম্যাচ খেলে তিনটিতে জিতে ভারত, হারে পাঁচটিতে, ড্র হয় অন্য ছয়টি ম্যাচ।

৬১৯ উইকেট নিয়ে কুম্বলে টেস্টে ভারতের সর্বোচ্চ এবং সব মিলিয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক। ২০১০ সালে কর্নাটক স্টেট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিও নির্বাচিত হন তিনি। ব্যাঙ্গালুরু জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যানও ছিলেন। এছাড়া ২০১২ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত বিসিসিআই টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান ছিলেন তিনি।