শেষ দিনে দারুণ এক শতকে মজিদকে পেছনে ফেলেন তামিম। আরেকটি চমৎকার ইনিংসে বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে ছাড়িয়ে যান রকিবুল।
১৬ ম্যাচে একটি শতক ও পাঁচটি অর্ধশতসহ ৬৫.৩৬ গড়ে ৭১৯ রান করেন প্রাইম দোলেশ্বরের রকিবুল। শেষ তিন ম্যাচে ওপেনার হিসেবে খেলেন তিনি। ৮৬*, ১০০ ও ৬৬* রানের শেষ তিন ইনিংস শীর্ষে নিয়ে যায় তাকে।
লিগে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ- ১৪২ রানের ইনিংস খেলা তামিম টুর্নামেন্টে করেছেন ৪৭.৬০ গড়ে ৭১৪ রান। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে আবাহনীকে চ্যাম্পিয়ন করা অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছে দুটি শতক ও চারটি অর্ধশতক।
দুটি শতক ও পাঁচটি অর্ধশতকসহ ৪৪.১২ গড়ে ৭০৬ রান করেন মজিদ। তার সেরা ১১৮। প্রথম ব্যাটসমান হিসেবে সাতশ’ রানের কৃতিত্ব তারই। সর্বোচ্চ ৭৬টি চার এসেছে তার ব্যাট থেকেই।
সর্বোচ্চ পাঁচ রান সংগ্রাহকের বাকি দুই জনও ভিক্টোরিয়ার। ১৬ ম্যাচে ৪৮.০০ গড়ে ৬৭২ রান করে চার নম্বরে রয়েছেন আল আমিন জুনিয়র। তার সেরা ১০২ রান। এই অফস্পিনার ১৬টি উইকেটও নিয়েছেন। সেরা ৫/২৭।
আল আমিন জুনিয়রের মতো একটি শতক ও সাতটি অর্ধশতক এসেছে তালিকার পাঁচ নম্বরে থাকা মুমিনুল হকের ব্যাট থেকে। ৪১.৯৩ গড়ে ৬৭১ রান করেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। তার সেরা ১০৪।
প্রাইম দোলেশ্বরের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ৫২৬ রান করে প্রথম পর্ব শেষে দুই নম্বরে ছিলেন। সুপার সিক্সের ব্যর্থতায় দশম স্থানে থেকে টুর্নামেন্ট শেষ করেন তিনি। ছয়শ’ রান পর্যন্ত যেতে পারেননি- ৩৮.৮৬ গড়ে করেন ৫৮৩ রান।
ব্যাটে-বলে দারুণ পারফরম্যান্সে আবাহনীর শিরোপা জয়ে দারুণ ভূমিকা রাখেন মোসাদ্দেক হোসেন। ৭৭.৭৫ গড়ে ৬২২ রান করে এই তরুণ আছেন ছয় নম্বরে। অফ স্পিনে ১৫ উইকেটও নেন তিনি। সেরা ৫/৪৩।
প্রিমিয়ার লিগের পাঁচ সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক:
নাম/দল | ইনিংস | রান | সর্বোচ্চ | গড় | শতক/অর্ধশতক |
রকিবুল হাসান, দোলেশ্বর | ১৬ | ৭১৯ | ১০০ | ৬৫.৩৬ | ১/৫ |
তামিম ইকবাল, আবাহনী | ১৬ | ৭১৪ | ১৪২ | ৪৭.৬০ | ২/৪ |
আব্দুল মজিদ, ভিক্টোরিয়া | ১৬ | ৭০৬ | ১১৮ | ৪৪.১২ | ২/৫ |
আল আমিন জুনিয়র, ভিক্টোরিয়া | ১৬ | ৬৭২ | ১০২ | ৪৮.০০ | ১/৭ |
মুমিনুল হক, ভিক্টোরিয়া | ১৬ | ৬৭১ | ১০৪ | ৪১.৯৩ | ১/৭ |