ক্লাবের পাওনা আদায়ে বিসিবির দারস্থ ভিক্টোরিয়ার ক্রিকেটাররা

বেধে দেওয়া সময়েও প্রাপ্য পারিশ্রমিক না পাওয়ায় বিসিবির হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভিক্টোরিয়ার ক্রিকেটাররা। বৃহস্পতিবার বোর্ডের প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে দেখা করে নিজেদের বঞ্চনার কথা জানিয়েছেন তারা।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 June 2016, 10:02 AM
Updated : 23 June 2016, 10:24 AM

নিয়ম অনুযায়ী প্রথম পর্ব শেষে সুপার লিগ শুরুর সময়টাতেই পারিশ্রমিকের ৬০ শতাংশ ক্রিকেটারদের বুঝিয়ে দেওয়ার কথা ক্লাবগুলোর। কিন্তু লিগ শেষ হয়ে গেলেও বেশিরভাগ ক্লাব সেটা করেনি। গত রোববার বিসিবি সভা শেষে বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান, ক্রিকেটারদের পাওনা পরিশোধের জন্য ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন ক্লাবগুলোকে।

সেই বেধে দেওয়া সময় শেষ হয়েছে বুধবার। কিন্তু টাকা না পেয়ে ভিক্টোরিয়ার নিরুপায় ক্রিকেটাররা সহযোগিতা চাইলেন বোর্ডের। পরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অধিনায়ক নাদিফ চৌধুরি জানালেন তাদের হতাশার কথা।

“আমাদের একজন কেবল ৪০ ভাগ টাকা পেয়েছে। বাকিরা কেউ ১০ ভাগ, কেউ ২০ ভাগ বা ৩০ ভাগ পেয়েছে। লিগ শেষ, ঈদের আগে সবাই বাড়ি যাবে, টাকা না পাওয়ায় যেতে পারছে না।”

“ছেলেরা সবাই খুব হতাশ। আমরা পেশাদার ক্রিকেটার, প্রাপ্য টাকা পেতে এভাবে হেনস্তা হতে হলে তা দুঃখজনক। প্রধান নির্বাহী আশ্বাস দিয়েছেন, বোর্ড ব্যাপারটি দেখবে। আমরা সেই আশায় আছি।”

ভিক্টোরিয়ার ক্রিকেটাররা জানান, গত কদিন ধরেই ক্লাব কর্তারা তদের ফোন ধরছেন না। এমনকি সবশেষ ম্যাচের দিন মাঠেও ছিলেন না কোনো কর্মকর্তা!

রোববার আল্টিমেটাম দেওয়ার পর বিসিবি প্রধান জনিয়েছিলেন, এরপরও ক্লাবগুলো টাকা না দিয়ে বিসিবিই ক্রিকেটারদের টাকা দিয়ে দেবে। আর সর্বোচ্চ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে ক্লাবগুলোর বিরুদ্ধে।

প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরি জানালেন, তারা খতিয়ে দেখছেন কোন কোন ক্লাব পাওনা পরিশোধ করেনি।

“মাত্রই আল্টিমেটাম শেষ হলো। ভিক্টোরিয়ার ক্রিকেটাররা আমাদের কাছে এসেছিল। আরও কিছু ক্রিকেটার অভিযোগ জানিয়েছেন। আমরাও অনেক ক্লাবের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। সব তথ্য পাওয়ার পর আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।”

বিতর্কিত ‘প্লেয়ার্স বাই চয়েজ’ পদ্ধতি এবারও চালু করার পর বোর্ড প্রধান জোর দিয়েই বলেছিলেন, ক্রিকেটারদের পারিপ্রমিক নিয়ে কোনো ঝামেলা হবে না। কিন্তু এখানেও ঠিকই দেখা যাচ্ছে ‘বিপিএলের ভূত’।

প্লেয়ার্স বাই চয়েজ নিয়ে ক্রিকেটারদের আপত্তি ছিল বরাবরই। বাধ্য হয়ে মেনে নিতে হোয়ছে তাদের। সেই হতাশাটা আরও একবার উঠে এলো নাদিফ চৌধুরির কণ্ঠে।

“আগের প্রচলিত পদ্ধতিই অনেক অনেক ভালো ছিল। আগে লিগের আগেই আমরা বড় একটা অংশের টাকা অন্তত আমরা পেযে যেতাম। ৮০-৯০ ভাগ টাকাও অনেকে পেত। এখন তো অর্ধেকও পাচ্ছে না কেউ। সিস্টেম আছে, প্রয়োগ নেই। আমরা সবাই হতাশ।”