দল নির্বাচনে সবসময়ই ‘কাটছাট’ করেছেন নাজমুল

জাতীয় দলের নির্বাচক কমিটির কাঠামো বদল নিয়ে চলছে বিতর্ক। পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক ফারুক আহমেদ। তবে এসবের কারণই বুঝতে পারছেন না নাজমুল হাসান। বিসিবি প্রধানের দাবি, দল নির্বাচনে হস্তক্ষেপ তো তাকে সবসময়ই করতে হয়েছে!

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 June 2016, 04:05 PM
Updated : 22 June 2016, 04:11 PM

বিসিবির গত সভায় অনুমোদন পেয়েছে দুই স্তরের নিবাচক কমিটি। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান যেখানে আহবায়ক; থাকছেন কোচ ও ম্যানেজার। এটা নিয়ে গত কিছু দিন ধরেই দেশের ক্রিকেটে চলছে তুমুল বিতর্ক। অনেকের মতে, এতে খর্ব হচ্ছে নির্বাচকদের স্বাধীনতা।

বুধবার বিকেলে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি প্রধান জানালেন, স্বাধীনতা খর্ব হয়ে আসছে আগে থেকেই!

“এই যে এখানে দুই নির্বাচক আছেন (মিনহাজুল আবেদীন ও হাবিবুল বাশার), প্রধান নির্বাচক ফারুক, সবাইকে জিজ্ঞেস করুন, এমন কোনো বার নেই যে ওরা দল নির্বাচনের পর আমাকে বসতে হয়নি। এমন কোনো সময় নেই যে আমাকে কাটছাট করতে হয়নি…নেভার। আমি এটাকে বাদ দিয়ে একটা সিস্টেম গড়ে তুলতে চাই।”

নাজমুল হাসানের দাবি, দল নির্বাচনে বোর্ড প্রধানসহ ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রভাব সবসময়ই ছিল। নতুন পদক্ষেপে সেটি কেবল আনুষ্ঠানিক রূপই দেওয়া হচ্ছে।

সবচেয়ে বেশি সমালোচনা যেটি নিয়ে, নির্বাচক কমিটিতে ম্যানেজারের অন্তর্ভুক্তি, সেটি নিয়ে পুরোনো কথাই বললেন বিসিবি প্রধান। পাশাপাশি জানালেন বিস্ময়কর কিছু তথ্য।

“একমাত্র ব্যতিক্রম হলো ম্যানেজারের অন্তর্ভুক্তি। আমি আপনাদের বলি, মনে দু:খ নিয়ে বলি। আপনারা জানেন, খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলা নিয়ে আমি একটু বেশিই ইনভলভড। আমি টিম মিটিংয়ে ঢুকে যাই।”

“ওখানে গিয়ে আমার একটা উপলব্ধি হয়েছে, কোচ একটা স্ট্র্যাটেজিক প্ল্যান দিয়ে দেন। কোন পরিকল্পনার জন্য কাকে দলে দরকার, জানান। ওখানে আমাদের প্লেয়াররা কোচকে চ্যালেঞ্জ করেন না। পরে মিটিং শেষে আমার পেছন পেছন এসে বলে, ‘পাপন ভাই, একটু চেঞ্জ করেন, ওকে খেলান’। আমি বলি, ‘তো মিটিংয়ে বলো নাই কেন?’ এভাবেই চলছে।”

“কোচের সঙ্গে তর্কে কেউ যেতে চায় না। আমি না গেলে ম্যানেজারকে বলে। আমার তখন এসবে সম্পৃক্ত হতে হয়। আমি এটা চাই না। এজন্যই ম্যানেজারকে রাখা।”

বোর্ড প্রধানের বক্তব্য উসকে দিচ্ছে নতুন বিতর্ক। একজন বোর্ড প্রধান হয়ে নিয়মিত টিম মিটিংয়ে থাকা কতটা সমীচীন? ক্রিকেটাররা যদি কোচের মতের বিরুদ্ধে বলতে ভয় পায়, সেই ভয় দূর করার ব্যবস্থা কতটুকু নেওয়া হয়েছে? প্রশ্নের উত্তরে নাজমুল হাসান দায়সারাভাবে বললেন, সবার মাঝে দূরত্ব কমানোর সেই পুরোনো কথাই।

কোচকে ক্রিকেটারদের ভয় পাওয়া মানে স্পষ্ট হয়ে ওঠে কোচের অবারিত ক্ষমতাও। কোচকে প্রবল ক্ষমতা দেওয়ায় বোর্ড প্রধানের দায় কতটুকু? প্রশ্নের উত্তর বিসিবি প্রধান দিলেন ঘুরিয়ে।

“আমার সময় হয়নি। আগে হয়েছে হয়ত। আমার ব্যাকগ্রাউন্ড আপনাদের জানতে হবে। রাজনীতিতে আছি, এমপি হয়েছি। কিন্তু আমার গত ৩০ বছরের ব্যাকগ্রাউন্ড রাজনৈতিক। আমি কর্পোরেট ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে যেগুলো দেখেছি, সেটাই করি।”