নাটকের পর আবাহনীই চ্যাম্পিয়ন

কমিটির সুপারিশ ছিল পয়েন্ট ভাগাভাগি করে দেওয়া। বিসিবি প্রধানের চাওয়া স্থগিত ম্যাচ আবার হোক। এরপর অপেক্ষা। শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যার পর জানানো হলো সিদ্ধান্ত। আবাহনী-প্রাইম দোলেশ্বলের মধ্যে স্থগিত ম্যাচের পয়েন্ট ভাগাভাগি। যেটার মানে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 June 2016, 02:48 PM
Updated : 22 June 2016, 03:34 PM

ঢাকার শীর্ষ ক্লাব টুর্নামেন্টে এই নিয়ে ১৮ বার চ্যাম্পিয়ন হলো আবাহনী। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান শিরোপা জিতেছে ৯ বার।

ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের তুলনামূলক নতুন দল প্রাইম দোলেশ্বর রানার্সআপ হলো এই নিয়ে টানা দুবার।

বুধবার প্রাইম ব্যাংককে হারানোর পর ১৫ ম্যাচে আবাহনীর পয়েন্ট ছিল ২২। সমান ম্যাচে দোলেশ্বরের ২০। গত ১২ জুন এই দুই দলের স্থগিত হয়ে যাওয়া ম্যাচের ওপর তাই নির্ভর করছিল শিরোপার ফয়সালা।

ম্যাচটির ভাগ্য নির্ধারণে একটি কমিটি করে দিয়ে ৭২ ঘণ্টার সময় বেধে দিয়েছিল বিসিবি। বুধবার বিকেলে শেষ হয়েছে সেই সময়। বিকেলে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি প্রধান জানালেন কমিটির সিদ্ধান্ত আর তার নিজের অভিমত।

“বাই লজ দেখে উনারা (কমিটি) যা বলেছেন, ম্যাচটি শেষই হয়নি। প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী ২০ ওভার খেলা না হলে আর কিছু বলার কিছু নেই। বাই লজে যেটা আছে, নো রেজাল্ট হলে এক পয়েন্ট করে ভাগাভাগি হবে। স্পষ্ট করে লেখা আছে। উনারা এটাই সুপারিশ করেছেন।”

“আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল আমার অভিমত। আমি বলছি এরকম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ প্রিমিয়ার লিগ আর দেখিনি। সুপার লিগে প্রথম ৫ দলের পয়েন্ট ব্যবধান ছিল ২। এসব কখনও দেখা যায়নি। এসব বিবেচনা করে আমি মনে করি আবার খেলা হওয়া উচিত। এরকম একট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ টুর্নামেন্ট খেলাতেই সুরাহা হওয়া উচিত।”

সংবাদ সম্মেলনের পর ধারণা করা হচ্ছিল, আবাহনী-দোলেশ্বর ম্যাচ বুঝি আবার হতেই যাচ্ছে। কিন্তু রাত সোয়া ৮টার দিকে বিসিবি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, বিশেষ কমিটির সুপারিশই মেনে নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ দুই দলকেই দেওয়া হয়েছে ১ পয়েন্ট করে। ১৬ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন আবাহনী। ২১ পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ দোলেশ্বর।

১৯৭৪-৭৫ মৌসুমে ঢাকা মেট্রোপলিস প্রথম বিভাগ ক্রিকেট নামে শুরু হয় ঢাকার শীর্ষ এই ক্লাব প্রতিযোগিতা। প্রথম মৌসুমের চ্যাম্পিয়নও ছিল আবাহনী। ১৯৮৭-৮৮ মৌসুম থেকে প্রথম বিভাগ রূপান্তরিত হয় প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে।

এবারের আসর ছিল ৪০তম। ২০০৩-০৪ ও ২০১২-১৩ মৌসুমে খেলা হয়নি। দুবার যুগ্মভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আবাহনী, একবার করে মোহামেডান ও বিমান। একমাত্র ক্লাব হিসেবে দুইবার হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আবাহনী।

ঢাকা লিগের সফল ক্লাব:

ক্লাব

শিরোপা

আবাহনী লিমিটেড

১৮ বার

মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব

৯ বার

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স

৬ বার

ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব

৪ বার

ওল্ডডিওএইচএস ক্রিকেট ক্লাব

২ বার

ব্রাদার্স ইউনিয়ন

১ বার

গাজী ট্যাংক ক্রিকেটার্স

১ বার

প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব

১ বার

রোল অব অনার (২০০০ সাল থেকে)

মৌসুম

চ্যাম্পিয়ন

রানার্সআপ

২০১৫-১৬

আবাহনী

প্রাইম দোলেশ্বর

২০১৪-১৫

প্রাইম ব্যাংক

প্রাইম দোলেশ্বর

২০১২-১৩

গাজী ট্যাংক

শেখ জামাল

২০১১-১২

ভিক্টোরিয়া

ওল্ডডিওএইচএস

২০১০-১১

আবাহনী

মোহামেডান

২০০৯-১০

মোহামেডান

বিমান বাংলাদেশ

২০০৮-০৯

আবাহনী

সূর্যতরুণ

২০০৭-০৮

আবাহনী

বিমান বাংলাদেশ

২০০৬-০৭

আবাহনী

মোহামেডান

২০০৫-০৬

ওল্ডডিওএইচএস

সোনারগাঁও ক্রিকেটার্স

২০০৪-০৫

ওল্ডডিওএইচএস

সিটি ক্লাব

২০০২-০৩

ভিক্টোরিয়া

মোহামেডান ও সিটি ক্লাব

২০০১-০২

ভিক্টোরিয়া

মোহামেডান

২০০০-০১

মোহামেডান

আবাহনী

* ২০০৩-০৪ ও ২০১২-১৩ মৌসুমে লিগ হয়নি