পঞ্চম বোলার হিসেবে আক্রমণে এসে মাশরাফি নিয়েছেন ৬ উইকেট। সৌম্য-মিঠুনদের লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ গুটিয়ে গেছে ১৯১ রানে। রান তাড়ায় খুব ভালো করছিল না কলাবাগানও। তবে লক্ষ্য ছোট বলে ছিল জয়ের পথেই। কাজ সহজ করে দিয়েছে বৃষ্টি। ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে জিতেছে তারা ১০ রানে।
আগের ম্যাচে ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে কলাবাগানের জয়েও দারুণ বোলিং করেছিলেন মাশরাফি। সেদিনের মতো এদিনও আক্রমণে এসেছেন ২০ ওভারের পর। মোহাম্মদ মিঠুন ও ইশাঙ্ক জাগগি তখন চেষ্টা করছেন জুটি গড়ে তোলার।
লিগে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা অভিজ্ঞ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান শাহিন হোসেন ও ফর্মের জন্য লড়তে থাকা সৌম্য সরকারকে শুরুতেই ফিরিয়ে দেন দেওয়ান সাব্বির। মিঠুন ও জাগগির জুটি গড়ার চেষ্টায় বাধ সাধেন মাশরাফি। প্রথম ওভারেই ফিরিয়ে দেন মিঠুনকে।
ব্যাট হাতে ভালো ফর্মে থাকা মোশাররফ হোসেনকেও প্রথম স্পেলেই ফেরান মাশরাফি। মাঝে বাঁহাতি স্পিনার শাহবাজ চৌহান ফেরান ভারতীয় জাগগিকে। রূপগঞ্জ ৫ উইকেট হারায় ৮৭ রানে।
ষষ্ঠ উইকেটে আসিফ আহমেদ ও সাজ্জাদুল হক গড়েন ৭৮ রানের জুটি। রূপগঞ্জের আগে ম্যাচের নায়ক আসিফকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন সাব্বির। ইনিংসের বাকিটুকু শুধুই মাশরাফির।
প্রধম ৭ ওভারে উইকেট ছিল তার দুটি। শেষ তিন ওভারের দুটিতে উইকেট নিয়েছেন জোড়ায় জোড়ায়। নিজের শেষ ওভারের শেষ বলে উইকেট নিয়ে গুটিয়ে দিয়েছেন রূপগঞ্জকে। ১০ ওভারে ৪২ রান দিয়ে ৬ উইকেট!
ভঙ্গুর ব্যাটিং লাইনআপের কলাবাগান তবু রান তাড়ায় খুব স্বস্তিতে ছিল না। আরও একবার থিতু হওয়ার পর আউট হয়েছেন ওপেনার জসিমউদ্দিন। আরেক ওপেনার সাদমান ইসলামের জায়গায় লিগে প্রথমবার সুযোগ পেয়ে জুপিটার ঘোষ ফিরেছেন ১৪ রানে।
ভারতীয় রোহান প্রেম ৩৩ করতে বল খেলে ফেলেন ৬৩টি। কলাবাগান ৪ উইকেটে ১২৭ রান তোলার পর নামে বৃষ্টি। ডাকওয়ার্থ-লুইসের হিসাবে তখন তারা একটু এগিয়ে ছিল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রূপগঞ্জ: ৪৯ ওভারে ১৯১ (সৌম্য ৭, শাহিন ৫, মিঠুন ৩১, জাগগি ২০, আসিফ ৪০, মোশাররফ ৪, সাজ্জাদুল ৪৮, আলাউদ্দিন ১৫, নাহিদুল ০, তাইজুল ৯*, রানা ১; শরিপুল্লাহ ০/১৮, সাব্বির ৩/২৫, রাজ্জাক ০/২৭, শাহবাজ ১/৩৭, মাশরাফি ৬/৪২, তানভির ০/১৯, জুপিটার ০/২১)।
কলাবাগান: ৩৫.৪ ওভারে ১২৭/৪ (জসিমউদ্দিন ৩৩, জুপিটার ১৪, প্রেম ৩৩, তাসামুল ৫, মেহরাব জুনিয়র ১৩*, তানভির ২৪*: রানা ১/২৯, সৌম্য ০/৮, আসিফ ০/২২, মোশাররফ ০/১৩, নাহিদুল ০/২৫, তাইজুল ১/১৪, আলাউদ্দিন ২/১৩)।
ফল: কলাবাগান ক্রীড়া চক্র ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ১০ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: মাশরাফি বিন মুর্তজা