মুস্তাফিজদের ফাইনালে নিলেন ওয়ার্নার

এক সময়ে ফাইনালে যাওয়ার সমীকরণটা খুব কঠিন হয়ে পড়েছিল হায়দরাবাদ সানরাইজার্সের। কিন্তু ডেভিড ওয়ার্নার ও বিপুল শর্মার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে সেই অনিশ্চয়তা উড়ে যেতেও সময় লাগেনি। তাদের দৃঢ়তায় মুস্তাফিজুর রহমানকে ছাড়া খেলতে নেমে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে গুজরাট লায়ন্সকে হারিয়েছে হায়দরাবাদ।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 May 2016, 06:32 PM
Updated : 27 May 2016, 06:32 PM

প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠতে চার উইকেটে জিতেছে ওয়ার্নারের দল। আগামী রোববারের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

খেলা শুরুর আগেই বড় একটা ধাক্কা খায় হায়দরাবাদ। হ্যামস্ট্রিং চোটের জন্য দলের সবচেয়ে বড় বোলিং ভরসা মুস্তাফিজকে ছাড়াই নামতে হয় তাদের। একাদশে প্রথমবারের মতো তরুণ বাঁহাতি পেসারের না থাকাটা বেশ ভুগিয়েছে দলকে। 

শুক্রবার দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৬২ রান করে গুজরাট। জবাবে চার বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় হায়দরাবাদ।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই শিখর ধাওয়ানকে হারায় হায়দরাবাদ। এক প্রান্তে অবিচল ছিলেন ওয়ার্নার। কিন্তু অন্য প্রান্তে নিয়মিত সঙ্গীরা ফিরে যাওয়ায় চাপ ক্রমশ বাড়ছিল।

প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের মধ্যে ওয়ার্নার ছাড়া দুই অঙ্কে যান কেবল মোইজেস হেনরিকেস (১১)। নামান ওঝা, বিপুল শেষের দিকে কিছুটা সহায়তা দেন ওয়ার্নারকে।

শেষ চার ওভারে ৪৫ রান প্রয়োজন ছিল হায়দরাবাদের। ওয়ার্নার-বিপুলের ঝড়ে চার বল বাকি থাকতেই সেই রান করে ফেলে দলটি। ৯৩ রানে অপরাজিত থাকেন ওয়ার্নার। ৫৮ বলে খেলা তার অধিনায়কোচিত ইনিংসটি ১১টি চার ও তিনটি ছক্কা সমৃদ্ধ।

২৭ রানে অপরাজিত থাকেন বিপুল। তার ১১ বলের কার্যকর ইনিংসটি গড়া তিনটি ছক্কায়।

এর আগে অ্যারন ফিঞ্চের অর্ধশতকে লড়াইয়ের পুঁজি গড়ে গুজরাট। ৩২ বলে খেলা ফিঞ্চের ৫০ রানের ইনিংসটি ৭টি চার ও দুটি ছক্কায় গড়া।

ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ৩২, দিনেশ কার্তিক ২৬ রান করেন। শেষের দিকে ডোয়াইন ব্রাভো (২০) ও রবিন্দ্র জাদেজা (১৯*) দুটি ছোট্ট কিন্তু কার্যকর ইনিংস খেলেন। তবে দিন শেষে হারের হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।