রাজিনের লড়িয়ে শতকে ফতুল্লায় ক্রিকেট কোচিং স্কুল (সিসিএস) তুলেছিল ২৪২ রান। বোলিংয়ে শুরুতে লড়াইও করেছিল তারা। কিন্তু পেরে ওঠেনি মিঠুন ও আসিফের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে। রূপগঞ্জ জিতেছে ৬ উইকেটে।
সিসিএসের শুরুটা ছিল পিনাক ঘোষের বাউন্ডারির মালায়। ৬টি বাউন্ডারিতে ২৪ বলে ৩০ করে রান আউট হন তরুণ এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ফর্মে থাকা সাইফ হাসান টেকেননি বেশিক্ষণ।
অমিত মজুমদারকে নিয়ে এরপর দারুণ এক জুটি গড়েন রাজিন। একপ্রান্ত আগলে রেখেছেন অধিনায়ক, অমিত সুযোগমতো খেলেছেন বড় শট। তৃতীয় উইকেটে দুজনের জুটি ৯৯ রানের।
৩ ছক্কায় ৫৬ করে আউট হন অমিত। হঠাৎই ইনিংসে লাগে মড়ক। ১৮ রানের মধ্যে তারা হারায় ৪ উইকেট।
তবে রাজিন ভড়কে যাননি। সপ্তম উইকেটে সাঈদ সরকারের সঙ্গে গড়েন ৫৫ রানের জুটি। উইকেট আঁকড়ে রাখা শতকে দলকে নিয়ে যান আড়াইশ’ রানের কাছাকাছি। উদ্বোধন করতে নেমে শেষ পর্যন্ত ৮ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ১৩৮ বলে ১০৬। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে যেটি তার পঞ্চম শতক, এবারের লিগে প্রথম। গত ঢাকা লিগে করেছিলেন দুটি।
ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ সাইফ বল হাতে ছিলেন দারুণ। নতুন বলে ফিরিয়ে দেন রূপগঞ্জের দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও জুনায়েদ সিদ্দিককে। লিগে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা ভারতীয় ইশাঙ্ক জাগগি আউট সাঈদের অফ স্পিনে। ৮৯ রানে রূপগঞ্জ হারায় ৩ উইকেট।
তবে সিসিএসের জয়ের আশা দুরাশায় পরিণত হয় মিঠুন ও আসিফের জুটিতে। চতুর্থ উইকেটে ১২৭ রানের ম্যাচ জয়ী জুটি গড়েন দুজন। শতকটাকে যখন মনে হচ্ছিল স্রেফ সময়ের ব্যাপার, তখন ৯০ রানে মিঠুন এলবিডব্লিউ হন সাইফের বলে।
৫৭ বলে অপরাজিত ৭২ রান করে আসিফ ফিরেছেন দলের জয় সঙ্গে নিয়ে। শেষ দিকে ২ ছক্কায় ম্যাচ শেষ করেছেন আলাউদ্দিন বাবু।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
সিসিএস: ৫০ ওভারে ২৪২/৭ (পিনাক ৩০, রাজিন ১০৬, সাইফ ৩, অমিত ৫৫, সালমান ০, উত্তম ৪, নাসুম ০, সাঈদ ২২, মেহরাব ১১*; আলাউদ্দিন ০/৬৫, আবু হায়দার ১/৪৫, মোশাররফ ৩/৩২, আসিফ ০/২৬, তাইজুল ২/৩৩, নাহিদুল ০/১৯, সৌম্য ০/১৮)।
রূপগঞ্জ: ৪৮.৪ ওভারে ২৪৩/৪ (সৌম্য ২২, জুনায়েদ ১৬, মিঠুন ৯০, জাজ্ঞি ১০, আসিফ ৭২*, আলাউদ্দিন ১৬*; সাইফ ৩/৩৮, উত্তম ০/৪৬, শাওন ০/৫২, নাসুম ০/৫২, সাঈদ ১/২৬, মেহরাব ০/২৬)।
ফল: লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: মোহাম্মদ মিঠুন।