ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের অষ্টম রাউন্ডে প্রাইম দোলেশ্বর সহজেই হারিয়েছে কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমিকে। দোলেশ্বরের ২৮৭ রানের জবাবে একাডেমি ২১ ওভারে ৪ উইকেটে ৯৮ তোলার পর বৃষ্টিতে বন্ধ হয় ম্যাচ। ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে দোলেশ্বরের জয় ৪৯ রানে।
ফতুল্লায় উদ্বোধনী জুটিতেই বড় স্কোরের ভিত্তি পেয়ে যায় দোলেশ্বর। রবিউল ইসলাম রবির সঙ্গে ১১২ রানের জুটি গড়েন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ইমতিয়াজ। ক্যারিয়ারের তৃতীয় অর্ধশতক করে পরের বলেই স্টাম্পড হন রবি।
দোলেশ্বর তাতে থমকায়নি। দ্বিতীয় উইকেটে ইমতিয়াজ ও রকিবুল হাসানের জুটি ৬২ রানের। ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে থাকা ইমতিয়াজ এদিনও খেলেছেন দারুণ। লিগে তৃতীয় শতকটিকে মনে হচ্ছিল স্রেফ সময়ের ব্যাপার। কিন্তু আউট হয়ে যান লেগ স্পিনার নূর হোসেনের বলে। ৯৪ বলে ৬টি চার ও ২ ছক্কায় করেছেন ৮৬।
হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে (৪১৯) ছাড়িয়ে আবারও লিগের রান তালিকায় শীর্ষে উঠে গেছেন অভিজ্ঞ এই ডানহাতি ওপেনার (৪৯০)।
তিনে নেমে রকিবুল করেছেন ৬৬। নাসির হোসেন ও ভারতীয় ব্যাটসম্যান অশোক মেনারিয়া বড় কিছু করতে পারেননি। কিন্তু শেষ দিকে ৪ ছক্কায় ১৫ বলে ৩৪ করেছেন অধিনায়ক ফরহাদ রেজা। ৯ বলে ১৫ রনি তালুকদার। শেষ ৫ ওভারে দোলেশ্বর তোলে ৬৩ রান।
কলাবাগান একাডেমির ব্যাটিং শক্তির বিবেচনায় ২৮৮ রানের লক্ষ্যটা ছিল ভীষণ দুরূহ। ৪৭ রানের উদ্বোধনী জুটিতে তবু লড়াইয়ের ইঙ্গিত ছিল। এরপরই টানা উইকেট হারিয়ে তারা হারায় পথ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
প্রাইম দোলেশ্বর: ৫০ ওভারে ২৮৭/৬ (ইমতিয়াজ ৮৬, রবি ৫০, রকিবুল ৬৬, নাসির ১৮, মেনারিয়া ৬, ফরহাদ ৩৪*, রনি ১৫, সানজামুল ১*; আবু জায়েদ ০/৩৩, নূর ১/৬৩, বিশ্বনাথ ০/৩১, মিরাজ ২/৪৭, মাহমুদুল ১/৩৬, সাক্সেনা ১/৪৯, তাপস ১/২৩)।
কলাবাগান একাডেমি: ২১ ওভারে ৯৮/৪ (শুক্কুর ৩৮, মায়শুকুর ২৩, সাক্সেনা ৭, মাহমুদুল (আহত অবসর) ২, মিরাজ ২১*, তাপস ১, নুরুজ্জামান ৬*; নাসির ২/৪৫, আল আমিন ১/১৭, ফরহাদ ০/১২, মেনারিয়া ০/৮, সানজামুল ০/১৬)।
ফল: প্রাইম দোলেশ্বর ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ৪৯ রানে জয়ী।
ম্যান অব দা ম্যাচ: ইমতিয়াজ হোসেন।