গাজীর ১০ উইকেট ভাগ করে নেন দুই বাঁহাতি স্পিনার নাঈম ইসলাম জুনিয়র ও এনামুল হক জুনিয়র এবং অফ স্পিনার হাবিবুর রহমান।
শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৩৭ ওভার ১ বলে ১৪১ রানে অলআউট হয়ে যায় গাজী। জবাবে ৩১ ওভার ৫ বলে তিন উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় মোহামেডান।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি মোহামেডানের। দ্বিতীয় ওভারেই ইজাজ আহমেদকে হারায় তারা। তবে সৈকত আলীর সঙ্গে উপুল থারাঙ্গার ৭৬ রানের জুটি সহজ জয়ের পথে এগিয়ে নেয় দলকে।
দলের রান ১০০ হওয়ার পর ফিরে যান থারাঙ্গা। তবে আরিফুল হককে নিয়ে বাকি কাজটুকু সহজেই সারেন আরিফুল হক।
এর আগে তিন স্পিনার এনামুল হক জুনিয়র, নাঈম ইসলাম জুনিয়র ও হাবিবুর রহমানের ঘূর্ণির সামনে অলক কাপালী ছাড়া গাজীর আর কোনো ব্যাটসম্যান ভালো করতে পারেননি।
সর্বোচ্চ ৪৮ রান আসে অধিনায়ক কাপালীর ব্যাট থেকে। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান শামসুর রহমান ও এনামুল হক ফিরেন থিতু হয়ে। ২৫ বলে ২৬ রান করেন শামসুর। এনামুলের সঙ্গে তার ৩৭ রানের জুটিই গাজীর সেরা।
এক ম্যাচ পরেই আবার মন্থর ব্যাটিং করেন এনামুল। ২৩ রান করতে এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান খেলেন ৫২ বল। চারটি চারে সাজানো ইনিংসে তিনি ডট বল খেলেন ৪৩টি।
ম্যাচ সেরা নাঈম জুনিয়র ৪ উইকেট নেন ৩৮ রানে। প্রতিপক্ষের প্রথম চার ব্যাটসম্যানকে ফেরান এই বাঁহাতি স্পিনার। ২৬ রানে চার উইকেট নেন আরেক বাঁহাতি স্পিনার এনামুল জুনিয়র।
অফ স্পিনার হাবিবুর দুই উইকেট নেন ২৭ রানে।
চার ম্যাচে এটা মোহামেডানের তৃতীয় জয়। সমান ম্যাচে গাজীর দ্বিতীয় হার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স: ৩৭.১ ওভারে ১৪১ (এনামুল ২৩, শামসুর ২৬, মেহেদি ১, সাঈদ ১, ফরহাদ ২, কাপালী ৪৮, ফারুক ৭, সাজেদুল ০, মইনুল ১, শরিফ ৫, দেলোয়ার ২*; এনামুল জুনিয়র ৪/২৬, নাঈম জুনিয়র ৪/৩৮, হাবিবুর ২/২৭)
মোহামেডান: ৩১.৫ ওভারে ১৪২/৩ (সৈকত ৪২, ইজাজ ৪, থারাঙ্গা ৪৭, নাঈম ১৮*, আরিফুল ২৫*; শরিফ ১/১৬, সাজেদুল ১/২৭, কাপালী ১/৩১)
ফল: মোহামেডান ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: নাঈম ইসলাম জুনিয়র।