উদ্যাপনই বলে দিচ্ছিল, শতকটি কত আকাঙ্ক্ষিত ছিল সাব্বিরের। সেই ২০১০ সালের ২৩ অক্টোবর বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে রাজশাহী বিভাগের হয়ে ১১২ করেছিলেন খুলনা বিভাগের বিপক্ষে। লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে তার সেই প্রথম শতক এত দিন হয়ে ছিল একমাত্র।
অবশেষে অবসান অপেক্ষার। সাড়ে ৫ বছর পর করলেন আরেকটি লিস্ট ‘এ’ শতক; বুধবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে। ৮২ ম্যাচে দ্বিতীয় শতক।
টি-টোয়েন্টিতে এখন বাংলাদেশের অন্যতম বড় নাম সাব্বির। তবে ওয়ানডেতে এখনও আছেন জায়গা পাকা করার লড়াইয়ে। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে নিজেকে আরও শাণিত করার সুযোগ এবারের প্রিমিয়ার লিগ। টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটিং অর্ডারে তিন নম্বরে জায়গা পাকা করেছেন, ওয়ানডে দলেও চোখ রাখছেন একই পজিশনে। এবারের লিগে তাই নিয়মিতই খেলছেন তিনে।
তার ওপর এবার দলবদলে তিনি ছিলেন ‘আইকন’ ক্রিকেটার। প্লেয়ার্স ড্রাফটে দ্বিতীয় ডাকেই তাকে নিয়েছিল প্রাইম ব্যাংক। সাব্বিরের কাছের প্রত্যাশা তাই এবার ছিল উঁচু তারে বাধা।
প্রথম তিন ম্যাচে প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির মিলেছিল কমই। আউট হচ্ছিলেন থিতু হয়ে। তিন ইনিংসে রান করেছিলেন ৩১, ১৬ ও ৫৩।
শতকের কাছে গিয়ে ছিলেন বেশ সাবধানী। সোহাগ গাজীকে বাউন্ডারি মেরে আশিতে পা রাখার পর মাইলফলকে পৌছার আগ পর্যন্ত মারেননি আর কোনো বাউন্ডারি। শেষ পর্যন্ত শতক স্পর্শ করেছেন ৯৬ বলে।
এর পর অবশ্য আর টিকতে পারেননি। নিজের খেলা পরের বলেই শফিউল ইসলামের স্লোয়ারে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েছেন লং অফে।
সাব্বিরের শতকের দিনে লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে প্রথম অর্ধশতক করেছেন নুরুল হাসান। আর শেখ জামাল অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ নিয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রথম ৫ উইকেট। ইনিংসের শেষ চার বলে তিন উইকেটসহ ৫ উইকেট নিয়েছেন ৬৬ রানে।
প্রাইম ব্যাংক তুলেছে ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩১৮, এবারের লিগে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ দলীয় রান।