কাছে গিয়েও শতক পেলেন না তামিম-নাসির

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম দিনে শতকের সুবাস পেয়েও হারিয়ে ফেললেন তামিম ইকবাল ও নাসির হোসেন।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 April 2016, 07:23 AM
Updated : 26 April 2016, 07:24 AM

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে আবাহনী লিমিটেডের তামিম আউট হয়েছেন ৯০ রানে। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে শুরু থেকেই দারুণ খেলছিলেন আবাহনী অধিনায়ক। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই শফিউল ইসালমকে চার মেরে শুরু করেছিলেন। খেলেছেন দারুণ কিছু শট।

মাহমুদউল্লাহর বলে ডাবল দিয়ে অর্ধশতক ছুঁয়েছেন ৫১ বলে। অর্ধশতকের পরও খেলছিলেন নিখুঁত। গড়বড় করে ফেললেন নব্বইয়ে গিয়ে। হুট করে বেরিয়ে এসে মাহমুদউল্লাহকে উড়িয়ে মারতে গেলেন, লং অনে ধরা পড়লেন শফিউল ইসলামের হাতে। ১১ চারে ৯১ বলে করেছেন ৯০। ইনিংসের তখন মাত্র ৩২ ওভার। সুযোগ ছিল আরও বড় কিছুর।

তামিমের পাশপাশি ভারতীয় ব্যাটসম্যান উদয় কাউলের ৬৩, নাজমুল হোসেন শান্তর অপরাজিত ৫২ ও মোসাদ্দেক হোসেনের ২৯ বলে ৪৬ রানের ঝড়ে আবাহনী তুলেছে ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ২৮৭।

না খেলেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জুড়ে অন্যতম আলোচিত ক্রিকেটার ছিলেন নাসির। খবরের শিরোনাম হয়েছেন বারবার উপেক্ষিত থেকে। বিশ্বকাপের পর প্রথম ব্যাট হাতে নিয়েই খেললেন দারুণ এক ইনিংস।

প্রথম ম্যাচে ব্যাটিং করার সুযোগ পাননি, বল হাতে নিয়েছিলেন ১ উইকেট। মঙ্গলবার ফতুল্লায় কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের হয়ে প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে পাঁচে নেমে তুললেন ঝড়।

নাসির উইকেটে গিয়েছিলেন ২৮তম ওভারে। ইনিংসটি গড়ে তুলেছেন আদর্শ মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের মতোই। সিঙ্গেল-ডাবল নিয়েছেন নিয়মিত, আর সুযোগমত বল পাঠিয়েছেন বাউন্ডারিতে। ৫০ স্পর্শ করেছিলেন ৫২ বলে। অর্ধশতকের পর চালিয়েছেন তাণ্ডব।

খুব কাছে গিয়েছিলেন শতকের। শেষ ওভার শুরু করেছিলেন ৯৪ রান নিয়ে। ইনিংসের শেষ দুই বলে দরকার ছিল ৩ রান। কিন্তু পঞ্চম বলে দেওয়ান সাব্বিরের বলে ফেরেন কট বিহাইন্ড হয়ে। ১১ চার ও ১ ছক্কায় ৭৫ বলে করেছেন ৯৭ রান।

আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন এবার করেছেন ৭৩। ফরহাদ রেজা ৩৮ বলে ৪৭। আবাহনীর মতো দোলেশ্বরও করেছে ঠিক ২৮৭ রান।